বৃহস্পতিবার, ২৮ জানুয়ারি ২০১৬

চট্টগ্রামে কুরআন শরিফ ছেঁড়ার সাথে ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে পুলিশের বানোয়াট বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় পবিত্র কুরআন ছেঁড়ার সাথে ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে পুলিশের বানোয়াট বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

এক যৌথ প্রতিবাদ বার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আতিকুর রহমান ও সেক্রেটারী জেনারেল ইয়াছিন আরাফাত বলেন, পবিত্র দায়িত্ব জলাঞ্জলি দিতে দিতে নূন্যতম দায়িত্ববোধও হারিয়ে ফেলেছে পুলিশ। আইন রক্ষার বদলে নিজেরাই বেআইনি কাজের প্রতিকে পরিণত হয়েছে। দায়িত্ব কর্তব্য বাদ দিয়ে বানোয়াট বক্তব্য ও নির্লজ্জ নাটক সাজানোতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। যার আরেকটি নিকৃষ্ট উদাহরণ চট্টগ্রামে পবিত্র কুরআন ছেঁড়ার সাথে ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে পুলিশের নির্লজ্জ মিথ্যাচার। সাতকানিয়ায় কথিত কুরআন ছেঁড়ার সাথে ছাত্রশিবির কর্মীদের দূরতম কোন সম্পর্ক নেই। বরং এই নিকৃষ্ট ঘটনায় ছাত্রশিবির নেতাকর্মীরা বিক্ষুদ্ধ। ছাত্রশিবির কর্মীরা কুরআন ছিঁড়েছে এ কথা পাগলেও বিশ্বাস করবে না। পবিত্র কুরআনকে ছাত্রশিবির নেতাকর্মীরা তাদের জীবনে সর্বোচ্চ জায়গায় স্থান দেয় এবং কুরআনের আলোকে জীবন গড়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। শুধুমাত্র কুরআনের কথা বলতে গিয়ে, কুরআনের মান মর্যাদা রক্ষা করতে গিয়ে ছাত্রশিবির নেতাকর্মীদের হত্যা, গুম, জুলুম নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছে। যা ছাত্রশিবিরের প্রতিপক্ষরাও স্বীকার করে। আমরা মনে করি, ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ পাগলের প্রলাপ ছাড়া কিছু নয়।

নেতৃবৃন্দ বলেন, এর আগেও পুলিশ এসব অপকর্ম করেছে। রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে আওয়ামী সন্ত্রাসী কর্তৃক কুরআন পুড়ানোর ঘটনাকে হেফজতে ইসলামের কর্মীদের উপর চাপিয়ে দিতে মূল ভূমিকা পালন করেছে এই পুলিশ। তাছাড়া ছাত্রশিবিরের বিভিন্ন অফিসসহ বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়ে পুলিশ পবিত্র কুরআনকে পদদলিত করেছে। ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন ক্যাম্পাসে প্রকাশ্য কুরআন পদদলিত ও অগ্নিসংযোগ করার সময় পুলিশ নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে। যা দেশবাসী ভূলে যায়নি। সেখানে কথিত কুরআন ছেঁড়ার ঘটনায় পুলিশ স্ব-উদ্যোগে মামলা করে তা শিবির কর্মীদের উপর দোষ চাপিয়ে দেয়ার এই অপকৌশল ও নাটক কোন দিনই বিশ্বাস করবে না। বরং এই নাটক পুলিশের প্রতি জনতার নূন্যতম আস্থার জায়গাটিও ধ্বংস করে দিবে। আমরা অবিলম্বে ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে পুলিশের এই বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। একই সাথে প্রতিপক্ষ দমনের এই নিকৃষ্ট নাটক বন্ধ করতে সরকার ও প্রশাসনের প্রতি জোর দাবী জানাচ্ছি।

সংশ্লিষ্ট