রবিবার, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন দেশ উপহার দেয়ার অভিযানে নেমেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির

ইসলামী ছাত্রশবিরিরে ৩৯ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে সপ্তাহব্যাপি কর্মসূচরি অংশ হিসেবে আজ নগরীতে পরিচ্ছন্নতা অভিযানে নেমেছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি আতিকুর রহমান। নেতা কর্মীদের সাথে নিয়ে তিনি দীর্ঘ সময় ধরে পরিস্কার করেছেন রাজপথ। শুধু রাজধানী নয়, সারাদেশেই চলছে এ অভিযান। সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে শুধু পড়াশুনাই নয়, সব সময় জনগণের পাশে থেকেছে ছাত্রশিবির।

আজ রোববার সকালে রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার উদ্যোগে পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর উত্তর শাখা সভাপতি জারিফ হাসান সহ মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

পরিচ্ছন্নতা অভিযান উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে কেন্দ্রীয় সভাপতি আতিকুর রহমান বলেন, ইসলামী ছাত্রশবিরিরে ৩৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ছিল ৬ ফেব্রুয়ারী। ১৯৭৭ সালের এই দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ থেকে পথচলা শুরু করে একে একে ৩৯টি বছর পিছনে ফেলে এ সংগঠন রচনা করেেছ এক গৌরবময় ইতিহাস। তিনি বলনে, বিপুল জনসংখ্যা অধ্যুষিত বাংলাদেশে হাজারও সমস্যায় জর্জরিত। দেশের এসব সমস্যায় শিবির পালন করে আসছে গঠনমূলক ও গুরুত্বর্পূণ ভূমিকা। ছাত্রশিবির দেশের বিভিন্ন প্রাকৃতিক র্দূযোগে দেশবাসীর পাশে দাঁড়িয়েছে সাহসী সৈনিকের মত। সাধ্যমত ত্রাণ সামগ্রী সংগ্রহ করে দুর্যোগ কবলিত মানুষের মাঝে বিতরণ, শীতবস্ত্র বিতরণ, বিনামূল্যে ঔষধ-চিকিৎসা প্রদান ইত্যাদি কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে এ দেশের জনসাধারণের মনের মাঝে স্থান করে নিতে সক্ষম হয়েছে। তিনি বলনে, ছাত্র সংগঠন হিসেবে ছাত্রশিবির এসব দুর্যোগর্পূণ পরিস্থিতিতে সবচেেয় গুরুত্ব দিয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের। তাদের বিনামূল্যে বই, খাতা, কলমসহ নগদ র্অথ প্রদান করে তাদের শিক্ষা জীবনকে অব্যাহত রাখা ছিল শিবিরের অন্যতম প্রধান কর্মসূচী। শিবিরের নিয়মিত কর্মসূচীর মাঝে রয়েছে স্বেচ্ছায় রক্তদান ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচীর মত সামাজিক আন্দোলন। যা জনসচেতনতা তৈরির পাশাপাশি সুন্দর ও নির্মল সমাজ বিনির্মাণে গুরুত্বর্পূণ ভূমিকা রাখছে।

উল্লেখ্য, ৩৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে গত ৪ ফেব্রুয়ারী থেকে সপ্তাহব্যাপি বর্ণাঢ্য কর্মসূচি পালন করছে ছাত্রশিবির। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, সারা দেশে শাখা, থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ে বর্ণাঢ্য র‌্যালী, আলোচনা সভা, দোয়া অনুষ্ঠান, স্মৃতিচারণ, সাংষ্কৃতকি অনুষ্ঠান, রচনা, কুইজ ও বিতর্ক প্রতিযোগিতা, মেধাবী ও গরীব অসহায় ছাত্রদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, পঙ্গু মেধাবী ছাত্রদের মাঝে হুইল চেয়ার ও নগদ অর্থ বিতরণ, অনাথ ও দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ, শীর্তাতদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ, মেধাবী ছাত্রদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ, ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান। এ র্কমসূচি চলবে আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি র্পযন্ত।

সংশ্লিষ্ট