শহীদ মুহাম্মদ আনিছার রহমান (পাশা)

০৬ জানুয়ারি ১৯৭৫ - ২৬ আগস্ট ১৯৯৭ | ৯২

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির

শাহাদাতের ঘটনা

১৯৯৭ সালের ২৬ আগস্ট উত্তর জনপদের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ সরকারি আযিযুল হক বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ইতিহাসে এক কলঙ্কজনক অধ্যায়। পবিত্র এই ক্যাম্পাসে সেদিন ঘটেছিল এক নারকীয় তাণ্ডব। জাতীয়তাবাদের ধ্বজাধারী, সন্ত্রাসের নায়ক, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের গুণ্ডাদের কাপুরুষোচিত হামলা-স্মরণকালের নৃশংস হত্যাকাণ্ড। কলেজের ইতিহাসে বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনগুলোর মধ্যে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটলেও হত্যাকাণ্ড কোনোদিন সংঘটিত হয়নি। বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণ যা অনেক সময় প্রশংসা কুড়িয়েছে। কিন্তু ২৬ আগস্ট নেতৃত্বের বলিষ্ঠতা আর ব্যক্তিগত চরিত্রের কারণে যে ছাত্রটি অল্প সময়ের মধ্যে সবার মধ্যে ভালবাসার স্থান করে নিয়েছিল, জাতির আগামী দিনের ভবিষ্যৎ, অর্থনীতি বিভাগের মেধাবী ছাত্র, আনিছার রহমান পাশার তাজা রক্তে কলেজ ক্যাশ কাউন্টারে সবুজ চত্বর সেদিন লাল হয়ে যায়। ঢলে পড়ে সম্ভাবনাময় এক জীবন। ঘটনার নির্মমতা দেখে বিস্ময় ও বেদনাবিধুর হয়ে পড়ে কলেজে নবাগত ছাত্র-ছাত্রী শিক্ষক ও কর্মচারীবৃন্দ। প্রিয় সাথীকে হারানোর বেদনায় ক্যাম্পাস হয়ে পড়ে ভারী। প্রতিবাদে ফেটে ওঠে শহীদের সাথীরা।

ঘটনা যেভাবে শুরু
তৎকালীন আওয়ামী সরকার বিশ্ববিদ্যালয় কলেজসমূহে একাদশ শ্রেণী বন্ধ করে দিয়ে এক সার্কুলার জারি করে। এই সার্কুলারের আওতায় সরকারি আযিযুল হক বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে একাদশ শ্রেণীতে ছাত্রছাত্রী বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। পরে বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন ও বগুড়ার সচেতন ছাত্র-জনতা নিয়মতান্ত্রিকভাবে ঐতিহ্যে ভরপুর সরকারি আযিযুল হক কলেজে ভর্তির দাবি জানায়। আন্দোলনের এক পর্যায়ে ভর্তির দাবির পূরণ হলে কলেজ কর্তৃপক্ষ একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির সিদ্ধান্ত নেয়। ফরম বিক্রি, ফরম পূরণ, ফরম জমা দেয়া থেকে শুরু করে ভর্তির কাজে ইসলামী ছাত্রশিবিরের কর্মীরা নবাগত ছাত্রছাত্রীদের সহযোগিতা করছিল। সেদিন ছিল একাদশ বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তির ১ম দিন। স্বভাবতই ভর্তির জন্য্য ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের প্রচণ্ড ভিড় ছিল।

ইসলামী ছাত্রশিবির সেদিন কলেজ ক্যাম্পাসে নবাগত সংবর্ধনা জানিয়ে মিছিল ও সমাবেশ করে। সমাবেশে তৎকালীন কলেজ সভাপতি আশরাফুল মান্নান শামাউন শিবিরের নেতাকর্মীদের ভর্তির ক্ষেত্রে সবরকম সহযোগিতার জন্য নির্দেশ দেন। শিবির কর্মীরা দু’দলে বিভক্ত হয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের সহযোগিতার জন্য ক্যাশ কাউন্টারে যায়। ক্যাশ কাউন্টারে ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তি প্রতিযোগিতা দেখে কোন ঘটনা ঘটতে পারে এমনটা ভেবে ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতৃবৃন্দ কলেজের অধ্যক্ষের নিকট যান, যাতে কাউন্টার বৃদ্ধি করে ভর্তির কাজ সহজ করা হয়। অধ্যক্ষের সাথে কথা শেষ করে শিবির নেতৃবৃন্দ আবার ফিরে আসলে কাউন্টারে টাকা জমা নিয়ে দুইজন ছাত্রের মধ্যে হাতাহাতি হয়। শিবির নেতৃবৃন্দ দুই পক্ষকে শান্ত করে ভর্তির কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এমন সময় ছাত্রদলের গুণ্ডাবাহিনী গুণ্ডা মাসুমের নেতৃত্বে সিরিয়াল ভঙ্গ করে ভর্তি ফরম জমা দিতে গেলে শিবির কর্মীদের সাথে কথাকাটাকাটি হয়। ফলে শিবির নেতৃবৃন্দ আবারও চেষ্টা করেন নিয়মের ভিত্তিতে কার্যক্রম চালাতে। কিন্তু সেটি সহ্য হয়নি কুলাঙ্গার মাসুমের। এই নিয়ম ভাঙ্গার প্রধান বাধা শিবির নেতৃবৃন্দের সাথে নির্লজ্জের মতো মারামারি করে। শিবির নেতা পাশাসহ অন্যরা এই হাঙ্গামা থামানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু খুনের নেশায় উন্মাদ হয়ে ওঠে ছাত্রদলের গুণ্ডাবাহিনী। শিবির নেতাকর্মীদের এলোপাতাড়ি হামলে পড়ে। শিবির নেতা আনিছার রহমান পাশাকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় কাপুরুষরা। মুহূর্তেই মাটিতে ঢলে পড়েন পাশা। কলেজ সভাপতির চিৎকারে সবাই জড়ো হয়ে পাশাকে রিকশায় করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এরপর বিক্ষুব্ধ কর্মীরা ঘটনার হোতা মাসুমকে অধ্যক্ষের রুমে আটকানোর চেষ্টা করলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তাকে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়। খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে শুরু হয় বিক্ষোভ মিছিল। গোটা শহর যখন প্রতিবাদে উত্তাল হাসপাতালে তখন হাজার হাজার লোকের ভিড়। হাসপাতাল চত্বরে শুরু হলো প্রতিবাদ সভা। সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধের অদম্য বাসনা কর্মীদের আরো উজ্জীবিত করে তোলে। শুরু হয় রাজপথে লাশ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল। রাস্তার দু’ধারে হাজার হাজার মানুষ এই হত্যাকাণ্ডে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে।

ঘটনার নেপথ্যে
২৬ আগস্টের হত্যাকাণ্ড ছিল পূর্বপরিকল্পিত। ইসলামী ছাত্রশিবির সরকারি আযিযুল হক কলেজে একক বৃহত্তম ছাত্র সংগঠন। ইসলামী ছাত্রশিবির গঠনমুখী ও নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে কলেজের সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে- যা সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়। শিবিরে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা, কর্মীদের অনুপম চরিত্র, শিক্ষকমণ্ডলীকে প্রভাবিত করেছে। যার ফলশ্রুতিতে ১৯৯৭ সালে ৪ মে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে জি.এস.সহ গুরুত্বপূর্ণ ৭টি পদে বিজয় ও অন্যান্য পদে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই তাদের রীতিমত চিন্তিত করে তোলে। সেদিন শিবির পরিকল্পিতভাবে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের আকৃষ্ট করার জন্য ভর্তি কাজে সহযোগিতা করছিল। ফলে সাধারণ ছাত্ররা সাহায্য পাওয়ার কারণে শিবিরের প্রতি দুর্বলতা অনুভব করে। যারা সরকারি আযিযুল হক কলেজকে নিজেদের কেনা সম্পত্তি মনে করে তারা তাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে শিবিরের গঠনমুখী-আদর্শিক কাজে বাধা দিয়ে এলাকার শ্রেষ্ঠ সন্তান নির্বাচিত ছাত্রসংসদ সদস্য আনিছার রহমান পাশাকে হত্যা করে।

শাহাদাত
১৯৯৭ সালের ২৬ আগস্ট একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি কাজে সহযোগিতার সময় ছাত্রদলের সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে মারাত্মক আহত ও সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন পাশা। হাসপাতালে নেয়ার পথে শাহাদাতের অমিয় সুধা পান করেন তিনি।
২৭ আগস্ট তৃতীয়বারের মতো জানাযা শেষে ছায়াঘেরা কচুয়া গ্রামে শহীদের পারিবারিক গোরস্থানে তাকে চিরসমাহিত করা হয়।

শাহাদাতে শহীদ পাশার নিকটজনের অভিব্যক্তি
শহীদ আনিছার রহমান পাশার শ্রদ্ধেয় আম্মা বলেন, পাশা ছোটবেলা থেকেই শান্ত, ভদ্র। কোনোদিন রাগ করেনি। যা বলেছি তাই করেছে। কোনোদিন টাকা পয়সার জন্য বায়না ধরেনি। শহর থেকে বাড়ি এসে পাশা ছোট ভাইদের পড়ার খোঁজ খবার নিত এবং তাগিত দিত আর সংসারের কাজের কথা বলতো। পাশা আহত হওয়ার খবর শুনেই আমার মন বলে উঠলো যে, আমার পাশা আর জীবিত নেই। কেননা প্রায় সময় সে শহীদ হওয়ার জন্য দোয়া করতো। আমি তখন সবাইকে বলতাম আমার ছেলের জন্যে দোয়া করতে, যেন সে জীবিত আমার কোলে ফিরে আসে। কিন্তু পরে দেখি, ছেলে আমার মানুষের কাঁধে চড়ে এসেছে। আমি আল্লাহকে বললাম, আল্লাহ আমার ছেলেকে কেন চাকু মারা হলো তা তুমিই ভালো জান। তুমি আমার ছেলেকে শহীদ হিসেবে কবুল কর।

৪০ দিন গত হওয়ার দিন রাত তিনটার সময় স্বপ্নে দেখি যে, পাশা লাশ হয়ে আমার কাছে এসে আর আমি গায়ে হাত লাগিয়ে বলছি, বাবা, তোমাকে কে চাকু মেরেছে? তখন ও বললো, মা, আমাকে মেরেছে আর আমি জেহাদের ময়দানে শহীদ হয়েছি। ওর দাদীকে বলেছে যে, আমার মার সঙ্গে এখন দেখা করবো না। কেননা আমাকে দেখলেই তিনি কাঁদবেন। মার সাথে কিয়ামতে একবার দেখা করবো। এরপর অনেকে তাকে স্বপ্নে দেখে প্রশ্ন করেছে, তোমাকে তো চাকু মেরেছে, তুমিতো মারা গিয়েছো। তখন সে বলেছে, আমি মরিনি, আমি জীবিত। বগুড়া থেকে সবাই বাড়ি এসে মিলাদ মাহফিল করার কথা ছিল। মাহফিলের আগের রাতে বলেছে, কাল এই মাহফিলে বগুড়া থেকে অনেক লোক আসবে তাদের যেন কোনো রকম অসম্মানী না হয়। আমার মন কোনোদিন বলেনি যে, আমার ছেলে বড় হবে, চাকরি করবে, সংসার চালাবে। আমি চেয়েছি পরকাল। আমি পরকাল পেয়েছি। আমার সব ছেলের জন্যও আমি দোয়া করি যেন, পাশার মতই সবাই নেককার হয়। এখন আমি দোয়া করি আল্লাহ যেন আমার বুকের ধন পাশাকে শহীদ হিসেবে কবুল করেন।

শহীদ আনিছারের গর্বিত পিতা বলেন
আমার ছেলেদের মধ্যে পাশা ছিল সবার চেয়ে ভালো। পাশার অনেক স্মৃতি আজ মনে পড়ছে। মানুষের সাথে ভাল ব্যবহার করত, মিশুক ছিল, অমার সাথে সুন্দর আচরণ করতো। বাড়িতে এসেই আব্বা বলে ডাকতো। আমার ইচ্ছা ছিল, পাশা বিএ, এম,এ পাস করে ফিরে আসবে। আমি শিক্ষিত সন্তানের পিতা হবো। কিন্তু সেই স্বপ্ন স্বপ্ন থেকে গেলো। আল্লাহ আমার ছেলেকে নিজের কাছে নিয়ে গেছেন আমি এতে খুশি। কেননা, সে শহীদ হয়ে জান্নাতে চলে যাবে। হয়তো এমনও হতে পারতো যে অন্যভাবে মৃত্যুবরণ করতো আর মৃত্যু তো অবশ্যই সবার জন্য আছে। পাশার শাহাদাতে আমি মোটেও চিন্তিত নই, হতাশাগ্রস্ত নই। এক সন্তান হারিয়ে আমি বহু সন্তানের পিতা হয়েছি। এক পাশার পরিবর্তে আমি বহু পাশাকে পেয়েছি।

শহীদ পাশার ছোট ভাই আমিনুল ইসলাম বলেন
পাশা শহর থেকে বাড়িতে এসে খুব ভালো ব্যবহার করতো, মিষ্টি কথা বলতো, রাগ করতো না কখনো। ভাইয়ের শাহাদাতে আমার বিশ্বাস যেহেতু তিনি ইসলামের কাজ করতে গিয়ে মারা গেছেন তাই তিনি শহীদ।

শহীদের বাল্য শিক্ষক মো. ইয়াছিন আলী বলেন
বাল্যকালে পাশা শান্ত, বুদ্ধিমান ও মেধাবী ছিল। আমি তাকে কোনোদিন দুষ্টুমি করতে দেখিনি। তবে আমি জানি যে, সে সবাই খারাপ কাজ করতে নিষেধ করতো, ভালো কাজের কথা বলতো। ওর শাহাদাতের কথা শুনে মনে হলো আমার কলিজা যেন ফেটে যাচ্ছে। আর মনে হচ্ছে, হে আল্লাহ! এই সুন্দর ছেলেদের এভাবে শেষ করে ফেললে এদেশে কারা ইসলামের পতাকা উড়াবে!

একনজরে শহীদ মুহাম্মদ আনিছার রহমান (পাশা)
নাম : মুহাম্মদ আনিছার রহমান (পাশা )
জন্ম তারিখ : ৬ জানুয়ারি ১৯৭৫ইং
পিতা : মুহাম্মদ কোরবান আলী
মাতা : মোছাম্মাৎ আছিয়া খাতুন
ঠিকানা : গ্রাম-কচুয়া, পোস্ট-লোকনাথ পাড়া, থানা- কাহালু, জেলা- বগুড়া
ভাই বোন : ৪ ভাই (তিনি সবার বড়)।
একাডেমিক যোগ্যতা : কচুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫শ শ্রেণী পর্যন্ত
কাহালু পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ে এসএসসি পর্যন্ত
বগুড়া সরকারি কমার্স কলেজে এইচএসসি
সরকারি আজিজুল হক বিশ্ববিদ্যলয় কলেজে অর্থনীতি (সম্মান) ৩য় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। শাহাদাতের সময় ২য় বর্ষের ফলপ্রার্থী ছিলেন।
সাংগঠনিক মান : সাথী
দায়িত্ব : সেউজগাড়ী উপশাখা সভাপতি
যাদের আঘাতে শহীদ : ছাত্রদলের একদল সন্ত্রাসীর হাতে
আঘাতের ধরন : চাকু, পিঠের মাঝখানে পুরো চাকু ঢুকিয়ে হার্টে আঘাত করে।
আহত হওয়ার স্থান : ২৬ শে আগস্ট ১৯৯৭ সালৈ একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি কাজে সহযোগিতার সময় ছাত্রদলের সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে মারাত্মক আহত হয়।
শাহাদাতের তারিখ ও স্থান : ২৬ শে আগস্ট ১৯৯৭ হাসপাতালে নেয়ার পথে দুপুর ১টায় শাহাদাত বরণ করে।
কবস্থান : ছায়াঘেরা কচুয়া গ্রামের পারিবারিক গোরস্থানে
যে শাখায় শহীদ : বগুড়া শহর

ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ
আনিছার রহমান পাশা ছিলেন একজন সৎ স্পষ্টভাষী ও মিশুবান। তার জনপ্রিয়তার এত তুঙ্গে ছিল যে আকসু নির্বাচনে সহ-ধর্মীয় সম্পাদক পদে বিপুল ভোটে বিজয় লাভ করেন। তার জনপ্রিয়তায় ক্ষুদ্ধ ছাত্রদলে ভণ্ডরা আর থামতে পারেনি।
অনার্স ১ম বর্ষের ভর্তিচ্ছু ভাইবোনদেরকে সাহায্যরত অবস্থায় ক্যাম্পাসে হট্টগোল শুরু করে। কিছুক্ষন পরে বেলা দুপুর ১.৩০ টায় তারা নৃশংসভাবে পিঠে ছুরিকাঘাত করে। আঘাতের পরিমাণ এতো বেশি ছিল দু’জন বল প্রযোগ করে ছুরি বের করতে হয়। ্হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি শাহাদাতের অমিয় সুধা পান করেন।

শহীদের স্মরণীয় বাণী
‘পরীক্ষা দিয়েছি, পাস করবো। জীবনে স্বাভাবিক মৃত্যুর চেয়ে, যদি শহীদ হতে পারতাম তাহলে জীবনের আসল পরীক্ষায় পাস হয়ে যেতো’।

এক নজরে

পুরোনাম

শহীদ মুহাম্মদ আনিছার রহমান (পাশা)

পিতা

মুহাম্মদ কোরবান আলী

মাতা

মোছাম্মাৎ আছিয়া খাতুন

জন্ম তারিখ

জানুয়ারি ৬, ১৯৭৫

ভাই বোন

৪ ভাই (তিনি সবার বড়)।

স্থায়ী ঠিকানা

গ্রাম-কচুয়া, পোস্ট-লোকনাথ পাড়া, থানা- কাহালু, জেলা- বগুড়া

সাংগঠনিক মান

সাথী

সর্বশেষ পড়ালেখা

সরকারি আজিজুল হক বিশ্ববিদ্যলয় কলেজে অর্থনীতি (সম্মান) ৩য় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।

শাহাদাতের স্থান

সরকারি আজিজুল হক বিশ্ববিদ্যলয় কলেজ


শহীদ মুহাম্মদ আনিছার রহমান (পাশা)

ছবি অ্যালবাম: শহীদ মুহাম্মদ আনিছার রহমান (পাশা)


শহীদ মুহাম্মদ আনিছার রহমান (পাশা)

ছবি অ্যালবাম: শহীদ মুহাম্মদ আনিছার রহমান (পাশা)