শহীদ হাফেজ আব্দুল্লাহ আল সালমান

৩০ নভেম্বর -০০০১ - ১০ ডিসেম্বর ২০১৩ | ১৮৭

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির

শাহাদাতের ঘটনা

শহীদের পরিচিতি:
শহীদ হাফেজ আবদুল্লাহ আল সালমান ১৯৯৬ সালে ফেনী জেলার অন্তর্গত ফুলগাজী উপজেলার উত্তর করইয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা-মাতার একান্ত ইচ্ছা ছিল ছেলেকে আল্লামা সাঈদীর মত একজন বিখ্যাত আলেম তৈরি করা, কিন্তু ইসলাম বিদ্বেষী ষড়যন্ত্রকারীদের ঘাতক বুলেটে ঝরে পড়ল বাগানের ফুটন্ত সুবাসিত গোলাপটি। শহীদ সালমান ফেনী আল-জাময়োতুল ফালাহয়িা কামলি মাদরাসার দশম শ্রণেীর ছাত্র। দশম শ্রণেীর ২ শতাধকি শিক্ষার্থীর মধ্যে তার রোল ৫। সে ফুলগাজী উপজলোর উত্তর কৈরইয়া গ্রামরে বড় বাড়ীর কুয়তে প্রবাসী মাওলানা সুলতান আহম্মদরে মঝে ছেলে। তারা ৩ ভাই ও ১ বোন। শহীদ সালমান মৃত্যুকালে ফালাহয়িা জুনয়ির শাখার শবিরিরে বায়তুলমাল সম্পাদকরে দায়ত্বি পালন করছলিনে। সে ৮ম শ্রণেীতে পড়াকালে ছাত্রশবিরিরে সাথী হয়।

যেভাবে তিনি আল্লাহর ডাকে চলে গেলেন:
ইসলামী আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের উপর আওয়ামী জুলুম নির্যাতন বন্ধ এবং নির্দলীয় সরকারের দাবীতে জামায়াত সহ ১৮ দলের আহ্বানে দেশব্যাপী লাগাতার অবরোধ চলছিল। ইতিমধ্যে জালিম সরকার ১০ ডিসেম্বর ২০১৩ ইং রাতে নিরপরাধ আব্দুল কাদের মোল্লার ফাঁসীর রায় কার্যকর ঘোষনা দিলে সারা দেশ প্রতিবাদ-বিক্ষেভে উত্তাল হয়ে ওঠে। রাজপথে নেমে আসে প্রতিবাদী জনতা। এরই ধারাবাহিকতায় ষড়যন্ত্র বন্ধ করে মজলুম জননেতার মুক্তির দাবীতে রাত ৯ টায় ফেনী শহরে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ মিছিলের উপর সশস্ত্র পুলিশ হায়েনার মত ঝাপিয়ে পড়ে মুহুর্মুহ গুলি চালায়। এ সময় বুকের বামপাশে গুলিবিদ্ধ হয়েঘটনাস্থলেই শাহাদাত বরণ করেন শহীদ হাফেজ আবদুল্লাহ আল সালমান।

শাহাদাতের পূর্বের বিভিন্ন ঘটনা :
৯ম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত মেধাবী ছাত্র হাফেজ আবদুল্লাহ আল সালমান একজন দা’য়ী হিসাবে সার্বক্ষনিক ব্যস্ত থাকতেন। বন্ধুও এলাকাবাসীদের কাছে শাহাদাতের আকাংখা পোষণ করে আন্দোলনে সামিল হওয়ার আহ্বান জানাতেন।

 

সামগ্রীক ঘটনার বিবরণ:
অত্যাচারী জালিম সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচনে দাবিতে জামায়াত সহ ১৮ দলের ডাকা অবরোধ চলাকালীন ষড়যন্ত্র মূলক ভাবে মজলুম জননেতা আব্দুল কাদের মোল্লার ফাঁসীর রায় কার্যকরের ঘোষনা দেয় আওয়ামী সরকার। ১০ ডিসেম্বর’১৩ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সক্রেটোরি জনোরলে আব্দুল কাদরে মোল্লার ফাঁসরি রায় কার্যকর করার ঘোষণার পরপরই ফনেীতে জামায়াত-শবিরিরে নতো-র্কমীরা বিক্ষোভে পেটে পড়ে। গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে শহরের শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সার সড়ক ও র্কোট বিল্ডিং এলাকার খাজুরয়িা নামক স্থানে জামায়াত-শবিরি নতো-র্কমীরা রাস্তায় অবস্থান নিয়ে অবরোধ শুরু কর। এই সময় জামায়াত-শিবিরের নেতা-র্কমীরা স্লোগান দেিত থাক। এক র্পযায়ে রাত সাড়ে ১০ টার দিকে পুলশি-বিজিবি-যুবলীগ ও ছাত্রলীগ ক্যাডাররা জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীদের লক্ষ্য করে বিপুলসংখ্যক টিয়ারশেল ও নিবিচারে গুলী চালায়। এসময় কুমিল্লা বাসস্ট্যান্ডের শান্তি কোম্পানী রোড এলাকায় শিবির নতো হাফজে আবদুল্লাহ আল সালমান পুলশিরে গুলীতে ঘটনাস্থলে শাহাদাত বরণ করনে।

শহীদ সালমানের শাহাদাতরে পর রাত আড়াইটার দিকে ফেনী আল-জাময়োতুল ফালাহিয়া কামিল মাদরাসায় পুলশিরে সহযোগতিায় যুবলীগ-ছাত্রলীগ ব্যাপক হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। এসময় জলো ছাত্রলীগ সভাপতি জহরিুল ইসলাম জুয়লে ও স্থানীয় যুবলীগ সন্ত্রাসী জানে আলমরে নতেৃত্বে প্রায় ৩ শতাধকি ক্যাডার পুলশিরে সহায়তায় ফালাহয়িা মাদরাসায় হামলা চালেিয় মাদরাসার ছাত্রাবাস ও ডাইনিং রুমে তান্ডব চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট কর।

শহীদ হাফজে আবদুল্লাহ আল সালমানরে প্রথম নামাযে জানাযা গতকাল বুধবার বিকাল ৪টায় ফেনী আল-জাময়োতুল ফালাহিয়া কামলি মাদরাসা ময়দানে অনুষ্ঠতি হয়। জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য অধ্যাপক লয়িাকত আলী ভূঁইয়া শিবির নেতা সালমানের বিশাল নামাযে জানাযায় ইমামতি করনে। উক্ত জানাযায় হাজার হাজার সাধারণ মানুষ অংশ নয়ে। ফালাহিয়া মাদরাসার বিশাল ময়দান কানায় কানায় র্পূণ হয়ে আশপাশরে অলিগলিতেও মানুষ জানাযায় শরীক হন। আছররে নামাযরে পর দ্বিতীয় জানাযা ফুলগাজী উপজলোর মুন্সরিহাটে অনুষ্ঠতি হয়। জানাযার্পূব সংক্ষপ্তি সমাবেেশ বক্তব্য রাখনে ফুলগাজী উপজলো জামায়াতরে আমীর মাওলানা আবুল হোসনে মিয়াজী। শহীদরে নিজ বাড়িতে মাগরিবের নামাযরে পর তৃতীয় জানাযা শেষে পারবিারকি কবরস্থানে দাফন করা হয়।

সাংগঠনিক পরিচয়:
হাফেজ আবদুল্লাহ আল সালমান ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাথী হিসাবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

শহীদের আপন জনদের কথা:
শহীদের মাতা: সালমান ছিলো মেধাবী, শান্ত এবং বিনয়ী। ইসলামের জন্য এই ত্যাগ-কুরবানীকে আল্লাহ কবুল করুন, এবং তাকে শাহাদাতের সর্বোচ্চ মর্যাদা দান করুন। আমীন।

পিতা: শহীদের পিতা হতে পেয়ে আমি গর্বিত।

এলাকাবাসী: শহীদ সালমান মেধাবী অমায়িক ব্যবহারের অধিকারী ছিল। আমাদের সাথে সে অত্যন্ত সম্মানের সাথে কথা বলত। যারা তাকে অন্যায় ভাবে হত্যা করেছে তাদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি চায়।

এক নজরে

পুরোনাম

শহীদ হাফেজ আব্দুল্লাহ আল সালমান

পিতা

সুলতান আহমদ

মাতা

ছালেহা খানম

জন্ম তারিখ

নভেম্বর ৩০, -০০০১

ভাই বোন

চার ভাই-বোনের মধ্যে দ্বিতীয়

স্থায়ী ঠিকানা

ফেনী জেলার ফুলগাজী উপজেলার উত্তর করইয়া গ্রাম

সাংগঠনিক মান

সাথী

সর্বশেষ পড়ালেখা

আল-জাময়োতুল ফালাহয়িা কামলি মাদরাসার দশম শ্রেণী

শাহাদাতের স্থান

কুমিল্লা বাসস্ট্যান্ডের শান্তি কোম্পানী রোড


শহীদ হাফেজ আব্দুল্লাহ আল সালমান

ছবি অ্যালবাম: শহীদ হাফেজ আব্দুল্লাহ আল সালমান


শহীদ হাফেজ আব্দুল্লাহ আল সালমান

ছবি অ্যালবাম: শহীদ হাফেজ আব্দুল্লাহ আল সালমান