শহীদ হাফেজ মো: নাজমুস শাহাদাত রুবেল

১৫ মার্চ ১৯৯২ - ০৫ জানুয়ারি ২০১৪ | ২০০

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির

শাহাদাতের ঘটনা

শহীদের পরিচিতি:
হাফেজ নাজমুস শাহাদাত রুবেল ১৯৯২ সালে ১৫ মার্চ ফরিদগঞ্জ থানার দক্ষিণ চরমানদারি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা-মাতার দুই সন্তানের মধে তিনি ২য়। দুই ভাইয়ের সংসারে দরিদ্র পিতা-মাতা সন্তানদের বড় করার স্বপ্ন দেখছিলেন। শহীদ হাফেজ নাজমুস সাহাদাত হেফজ শেষ করে রায়পুর আলীয়া মাদ্রাসায় দাখিল পরীক্ষার্র্থী ছিলেন। তিনি লেখা-পড়ার পাশাপাশি টিউশনি করে নিজের খরচ নিজে জোগাড় করতেন। পরিবারকেও সহায়তা করতেন।

যেভাবে তিনি আল্লাহর ডাকে চলে গেলেন:
আওয়ামী ফ্যাসিষ্ট সরকার ০৫ জানুয়ারী ২০১৪ ইং বাকশালী কায়দায় বিরোধীদলকে বাদ দিয়ে একক ভাবে একটি প্রহসনের নিবার্চন অনুষ্ঠানের আয়জন করে। সারা দেশ প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠে। ৫ জানুয়ারী মাছিমপুর উচ্চ বিদ্যালয় (রামগঞ্জ, লক্ষীপুর) নির্বাচনী কেন্দ্রে অবরোধ করতে গেলে সশস্ত্র পুলিশ নির্বিচারে গুলি বর্ষণ করলে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্মক আহত হন শহীদ হাফেজ নাজমুস সাহাদাত। দুপুর ১২টায় তাকে আহত অবস্থায় তাকে রায়পুর সরকারী হাসপাতালে নেয়া হয়। অবস্থার অবনতি দেখে ঢাকায় পাঠানো হয়। ঢাকা নেয়ার পথে চাঁদপুর ওয়ারল্যাস গেটে পৌঁছলে বেলা ২টায় শহীদ নাজমুস সাহাদাত রুবেল শাহাদাত রবণ করেন।

শাহাদাতের পূর্বের বিভিন্ন ঘটনা :
শহীদ হাফেজ নাজমুস শাহাদাত রুবেল কুরআনের হাফেজ ছিলেন। ছাত্র হিসেবে খুব মেধাবী ছিলেন তিনি। সহজ-সরল জীবন যাপন করতেন। বিভিন্ন সামাজিক কাজে অংশ গ্রহণ করতেন। আন্দোলনের কাজে সব সময় অংশগ্রহণ করেছেন অগ্রভাগে। কোন কর্মসূচী বাদ দিতেন না। এলাকায় সবার প্রিয় ছিলেন তিনি। রায়পুর আলিয়া মাদ্রসা, দাখিল পরীক্ষার্থী। পড়াশোনার পাশাপাশি টিউশনি করে অসুস্থ মায়ের ঔষুধ কিনে দিতেন। এবং নিজের পড়া শোনার খরচ চালাতেন? দ: চরমন্দারী পারিবারিক কবর স্থানে। বড় ভাই তাবলীগ। শহীদ সম্পর্কে তার মায়ের অভিব্যক্তি হল ইসলামী আন্দোলন করার কারনে আমার ছেলেকে তাঁরা শহীদ করেছে? মামলা হয়েছে, বাদী রাষ্ট্র, তদন্ত চলমান।

সামগ্রিক ঘটনার বিবরণ:
৫ জানুয়ারী প্রহসনের নিবার্চন নির্বাচন প্রতিরোধ কর্মসূচীর অংশ হিসাবে মাছিপুর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট চলাকালীন সময়ে জনতা কেন্দ্র অবরোধ করে। দুপুর ১২ টায় নিরস্ত্র জনতার উপর সশস্ত্র পুলিশ নির্বিচারে গুলি বর্ষণ করলে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্মক আহত হন শহীদ হাফেজ নাজমুস সাহাদাত। দ্রুত তাকে আহত অবস্থায় তাকে রায়পুর সরকারী হাসপাতালে নেয়া হয়। অবস্থার অবনতি দেখে ঢাকায় পাঠানো হয়। ঢাকা নেয়ার পথে চাঁদপুর ওয়ারল্যাস গেটে পৌঁছলে বেলা ২টায় শহীদ নাজমুস সাহাদাত রুবেল শাহাদাত রবণ

শহীদের আপনজনদের কথা:
শহীদের মাতা: আল্লাহ আমাদের সন্তানকে শহীদ হিসাবে কবুল করুন, তাকে জান্নাত নসীব করুন।

এক নজরে

পুরোনাম

শহীদ হাফেজ মো: নাজমুস শাহাদাত রুবেল

জন্ম তারিখ

মার্চ ১৫, ১৯৯২

ভাই বোন

দুই ভাই-বোনের মধ্যে ২য়

স্থায়ী ঠিকানা

চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার গৃদকালিন্দিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ চর মান্দারী গ্রাম

সাংগঠনিক মান

কর্মী

সর্বশেষ পড়ালেখা

রায়পুর আলীয়া মাদ্রাসায় দাখিল পরীক্ষার্থী

শাহাদাতের স্থান

ঢাকা নেয়ার পথে চাঁদপুর ওয়ারল্যাস গেট


শহীদ হাফেজ মো: নাজমুস শাহাদাত রুবেল

ছবি অ্যালবাম: শহীদ হাফেজ মো: নাজমুস শাহাদাত রুবেল


শহীদ হাফেজ মো: নাজমুস শাহাদাত রুবেল

ছবি অ্যালবাম: শহীদ হাফেজ মো: নাজমুস শাহাদাত রুবেল