শহীদ শফিকুল ইসলাম

০১ জানুয়ারি ১৯৬৭ - ১৮ এপ্রিল ১৯৮৯ | ২৯

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির

শাহাদাতের ঘটনা

পদ্মাবিধৌত হযরত শাহ মখদুম (রহ)-এর স্মৃতিবিজড়িত উত্তরবঙ্গের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের এক অনন্য লীলাভূমি এই পবিত্র জমিন। সবুজ-শ্যামল, ছায়া সুনিবিড় আর সাজানো-গোছানো সুরম্য অট্টালিকায় চিত্তাকর্ষক ও মনোমুগ্ধকর এই ক্যাম্পাস। শিক্ষার জগতে ভ্রমণ করার, শিক্ষার অতল সমুদ্রে অবগাহন করার এবং জীবনসংগ্রামে নিজেকে উপযুক্ত করে গড়ে তোলার জন্য হৃদয়ে একগুচ্ছ আশা-ভরসা নিয়ে ভর্তি হয় ছাত্র-ছাত্রীরা মতিহারের এই সবুজ চত্বরে গড়ে ওঠা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে। প্রকৃতির সেই বাস্তবতায় জীবনে বড় হওয়ার এক অদম্য স্পৃহা নিয়ে এই ক্যাম্পাসে ভর্তি হন আমাদের প্রিয় ভাই প্রতিভাবান ছাত্র, শহীদি মিছিলের উজ্জ্বল নক্ষত্র শহীদ শফিকুল ইসলাম।

পারিবারিক পরিচয়
নবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানার অন্তর্গত শাহবাজপুর গ্রামে ১৯৬৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন শহীদ শফিকুল ইসলাম। তাঁরা তিন ভাই, চার বোন। ভাই-বোনদের মধ্যে পঞ্চম এবং ভাইদের মাঝে সবার ছোট ছিলেন তিনি। বড় ভাই কামাল হাসান বিমান বাহিনীর ওয়ারেন্ট অফিসার। মেজ ভাই জাহাঙ্গীর আলম প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক। পিতা কায়েস আহমদ ছিলেন প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক। তিনি ২৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৮ তারিখ মঙ্গলবার সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে ইন্তেকাল করেন। দুখিনী মা ইহজগতের মায়া ত্যাগ করে জান্নাতের সিঁড়িতে পদার্পণ করেন ৩ অক্টোবর ১৯৯৫ তারিখ মঙ্গলবার ভোর ৪টায়।

শিক্ষাজীবন
শহীদি ঈদগাহের মুজাহিদ, আমাদের প্রিয় ভাই শফিকুল ইসলাম পারদিলালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক পড়াশোনা শেষ করেন। শাহবাজপুর হাইস্কুল থেকে ১৯৮২ সালে গণিতে লেটার মার্কসসহ প্রথম বিভাগে কৃতিত্বের সাথে এসএসসিতে উত্তীর্ণ হন। ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান আদিনা ফজলুল হক সরকারি কলেজ থেকে ১৯৮৪ সালে প্রথম বিভাগে এইচএসসিতে উত্তীর্ণ হন। এরপর নিজের সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৮৪-৮৫ শিক্ষাবর্ষে গণিত বিভাগে ১ম বর্ষ সম্মান শ্রেণীতে ভর্তি হন প্রিয় ভাই শহীদ শফিকুল ইসলাম। তিনি ছিলেন মতিহার হলের আবাসিক ছাত্র এবং ইসলামী ছাত্রশিবিরের হল শাখার সেক্রেটারি। শাহাদাতকালীন সময়ে তিনি গণিত তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।

সাংগঠনিক পরিচয়
মানুষের মুক্তি আর কল্যাণের লক্ষ্যে দ্বীন কায়েমের বিপ্লবী কাফেলা বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের দাওয়াত পান ১৯৮১ সালে, স্কুলজীবনে। আল্লাহর রঙে জীবনকে রঙিন করার চেতনায় ১৯৮৪ সালে সংগঠনের সাথী প্রার্থী হন। অতঃপর আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে ১৯৮৫ সালে সাথী হিসাবে শপথ গ্রহণ করেন। যদিও তিনি ক্যাম্পাসে এসে সাথী শপথ গ্রহণ করেন, তবুও আগে থেকেই তিনি সংগঠনের প্রতি নিবেদিতপ্রাণ ছিলেন। দাওয়াতে দ্বীনের মহান চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে তিনি স্কুলজীবন থেকেই ছাত্রদের মাঝে ইসলামের সুমহান বাণী পৌঁছিয়ে দিতে শুরু করেন। তাঁর অসাধারণ প্রতিভা এবং অনুপম চরিত্র স্কুল ছাত্রদের মাঝে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে।

ঈমানের প্রদীপ্ত চেতনা তাঁকে দাওয়াতের কাজে উদ্বুদ্ধ করত প্রতিনিয়ত। তিনি বাড়ি থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে মির্জাপুর হাইস্কুলে পায়ে হেঁটে গিয়ে প্রোগ্রাম করে আসতেন এবং তরুণ ছাত্রসমাজকে দাওয়াতের মাধ্যমে ইসলামের সুমহান আদর্শের পথে আহবান করতেন। শহীদ শফিকুল ইসলামের জীবনের মহান লক্ষ্য ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়া অথবা বিসিএস উত্তীর্ণ হওয়া। কিন্তু ইসলামের দুশমনরা তাঁর সে স্বপ্ন বাস্তবায়িত হতে দেয়নি। তাদের পাশবিক জিঘাংসার শিকারে পরিণত হন তিনি। তাঁকে যোগ দিতে হয় শহীদ আসলাম ও আসগরের পথ ধরে শহীদি মিছিলে।

অনন্য গুণে ভাস্বর শহীদ
শহীদ শফিকুল ইসলাম শুধুমাত্র একজন ভালো ছাত্রই ছিলেন না, বরং তিনি ছিলেন আদর্শ যুবক। সামাজিক কর্মকাণ্ডের প্রতি দায়িত্ববান এক সচেতন নাগরিক। প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে অন্যতম ভয়াবহ দুর্যোগ বন্যায় একবার এলাকা প্লাবিত হওয়া শুরু হলে তিনি সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে এলাকার সমস্ত ছাত্রকে একত্রিত করে গ্রামের পার্শ্ববর্তী উমরপুর নালায় বাঁধ দেন। ফলে এলাকার বিপুল পরিমাণ শস্যক্ষেত এবং ঘরবাড়ি বন্যার কবল থেকে রক্ষা পায়।

শহীদি মিছিলের অগ্রসেনা শহীদ শফিকুল ইসলাম আচার-আচরণের দিক থেকে এক গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিত্ব ছিলেন। উত্তম চরিত্র ও আচরণের কারণে তিনি ছিলেন একাধারে পিতা-মাতার আদরের সন্তান, বড় ভাই-বোনদের একান্ত স্নেহভাজন, পাড়ার প্রতিটি মানুষের উত্তম প্রতিবেশী এবং শিক্ষকমণ্ডলীর কাছে একজন আদর্শবান ছাত্র। রুচিশীল ও মার্জিত পোশাক পরতেন তিনি। প্রিয় শখ ছিল ফুটবল খেলা, তবে সংগঠনে আসার পর ট্র্যাকস্যুট পরে খেলতেন। তিনি বাসায় পিঠা খেতে ভালোবাসতেন। আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে ইসলামের ফরজিয়াতসমূহ পালন করতেন। নফল নামাজ ও নফল রোজা ছিল তাঁর জীবনের অবিচ্ছেদ্য আমল।

শাহাদাত
দিনটি ছিল ১৮ এপ্রিল, ১৯৮৯; ক্যাম্পাসে শহীদ আসলাম ও আসগরের রক্ত শুকাতে না শুকাতেই ঘটে গেল আর একটি শাহাদাত। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের পূর্ববর্তী ছয় শহীদের পথে পাড়ি জমালেন শফিকুল ইসলাম। শহীদ আসলাম ও আসগরের শাহাদাতের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ইসলামী আন্দোলনের জিন্দাদিল কর্মীরা শহীদের রক্তে ভেজা মতিহারের পবিত্র অঙ্গনে ছড়িয়ে পড়েন আরো বেশি করে দাওয়াতে দ্বীনের কাজ শুরু করেন জোরালোভাবে। তখন ইসলামবিরোধী শক্তির মধ্যে শুরু হয় মর্মজ্বালা। তারা ইস্যু খুঁজতে থাকে কিভাবে মতিহারের সবুজ চত্বর থেকে মানুষের বিজয়ের কথা, মুক্তির কথা চিরদিনের জন্য মুছে ফেলা যায়। এমনই একটা সময়ে তৈরি করা হল নতুন আর একটি ইস্যু। ক্লাসে আগের বেঞ্চে বসাকে কেন্দ্র করে প্রথমে কথা কাটাকাটি শুরু হয়, পরে সেটা রাজনৈতিক ব্যাপারে রূপান্তরিত হয়। তথাকথিত সংগ্রাম পরিষদের সন্ত্রাসীরা প্রথমেই কলা ভবনের সামনে শিবিরনেতা তোতাকে আঘাত করে। বামপন্থার নামে গোড়া সাম্প্রদায়িক রাজনীতির ধ্বজাধারী ছাত্রমৈত্রীর সশস্ত্র গুণ্ডা কামরানের প্রচণ্ড আঘাতে তোতা ভাইয়ের নাক ফেটে যায়।

এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা ব্যাংকের সামনে ভর্তি গাইড বিক্রিরত ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের ওপর হামলা পরিচালনা করে। চালাতে থাকে এলোপাথাড়ি গুলি। গণিত ৩য় বর্ষের মেধাবী ছাত্র, বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্ভাব্য শিক্ষক শফিকুল ইসলাম অন্যান্য শিবিরকর্মীদের সাথে গাইড বিক্রির কাজে নিয়োজিত ছিলেন।

সন্ত্রাসী বাহিনীর উপর্যুপরি গুলিবৃষ্টি শুরু হওয়ার পর শফিকুল ইসলাম তাঁর প্রিয় কাফেলার অন্যান্য ভাইদের হেফাজত ও খোঁজ-খবরের স্বার্থে ব্যাংকের সামনে থেকে প্যারিস রোডের সিনেট ভবনের দিকে অগ্রসর হচ্ছিলেন। এমনি একটি ভয়াবহ মুহূর্তে সন্ত্রাসীদের একটি গুলি শহীদ শফিকুল ইসলামের বুক ফুঁড়ে বেরিয়ে যায়। তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। মারাত্মক আহতাবস্থায় তাঁকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। মেডিক্যালে পৌঁছার পরও তিনি জিজ্ঞেস করতে থাকেন হৃদয়ের স্পন্দন ইসলামী ছাত্রশিবিরের অবস্থান, ক্যাম্পাসের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে। অল্প কিছুক্ষণ পরেই কর্তব্যরত ডাক্তার তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ডাক্তারের ভাষায় শফিকুল ইসলাম ‘মৃত’, কিন্তু ততক্ষণে মৃত্যুহীন জীবনে হাজির হয়েছেন আমাদের প্রিয় শহীদ পৌঁছে গেছেন পরম প্রিয় আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে।

খুনিরা যেখানে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায় : মানবতা সেখানে নিভৃতে কেঁদে ফেরে
শহীদ শফিকুল ইসলামকে হত্যা করে জাসদ-মৈত্রীর সশস্ত্র গুণ্ডা বাহিনী। ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং পুলিশের উপস্থিতিতে গুলি করে হত্যা করা হয় তাঁকে। প্রকাশ্য দিবালোকে ঘটে যাওয়া এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করে মামলা দায়ের করা হয়। সেই ১৯৮৯ থেকে আজ অবধি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোলঘেঁষে বয়ে যাওয়া পদ্মায় বন্যার জোয়ার এসেছে নিয়মিত। চন্দ্র-সূর্য, গ্রহ-নক্ষত্র উদিত হয়ে অস্ত যাচ্ছে আগের মতই, প্রকৃতিতে বসন্তের আগমন ও প্রস্থান ঘটেছে অনেকবার, সূর্য মেঘের আড়ালে লুকোচুরি খেলে স্বরূপে আবির্ভূত হয়েছে বারবার, কিন্তু আজ পর্যন্ত সুষ্ঠু বিচার করা হয়নি শহীদ শফিকুল ইসলামের খুনিদের। যার কারণে সন্ত্রাসীরা উৎসাহিত হয়ে ক্যাম্পাসে বার বার হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে নির্লিপ্তে, নির্বিঘ্নে। ফলশ্রুতিতে জীবন দিতে হয়েছে ১৯৯০-এর ২২ জুন শিবিরনেতা খলিলুর রহমানকে, ’৯৩-এর ৬ ফেব্রুয়ারি মোস্তাফিজুর রহমান ও রবিউল ইসলামকে, ’৯৫-এর ১২ ফেব্র“য়ারি মোস্তাফিজুর রহমান ও ইসমাঈল হোসেন সিরাজীসহ আরো অনেককে।

এদেশ ও জাতির জন্য দুর্ভাগ্য যে, এ দেশের বিচারবিভাগও শাসকদের নিয়ন্ত্রণমুক্ত থাকতে পারেনি। প্রভাবমুক্ত থাকতে পারেনি শহীদ শফিকুল ইসলামের বিচারের ক্ষেত্রেও। শহীদ শফিকুল ইসলামের বিচারের রায় ঘোষণার কয়েকদিন পূর্বে তৎকালীন ছাত্রদলের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতির নেতৃত্বে খুনিচক্রের একটি দল তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাৎ করে এবং শহীদ শফিকুল ইসলামের হত্যাকারীদের বেকসুর খালাস দাবি করে। বেগম খালেদা জিয়া খুনিচক্রের অন্যায় আবেদনের নিকট মাথানত করে হাতে তুলে নেন টেলিফোন, বিচার বিভাগকে নির্দেশ দেন তার কথা মতো রায় দিতে। ফলে প্রকাশ্য দিবালোকে ঘটে যাওয়া একটি হত্যাকাণ্ডের নায়ক জাসদ-মৈত্রীর সন্ত্রাসীদের বেকসুর খালাস দেয়া হয়।

শহীদ শফিকুল ইসলামের তো কোনো অপরাধ ছিল না। অপরাধ ছিল মাত্র একটি, সেটা হলো ইসলামকে ভালোবাসা। মহান আল্লাহপাক ঘোষণা করেছেন, “মুমিনদের সাথে ঐ বাতিলগোষ্ঠীর শত্রুতা শুধুমাত্র এ কারণে যে, তারা মহাপরাক্রমশালী প্রশংসিত আল্লাহর ওপর ঈমান এনেছিল।” তারা শহীদ শফিকুল ইসলামকে হত্যা করতে পারে, কিন্তু তাঁর আদর্শকে হত্যা করতে পারেনি। তিনি দৃশ্যত আমাদের মাঝ থেকে বিদায় নিলেও প্রকৃতপক্ষে তিনি রয়েছেন জীবিত। মহান আল্লাহর ঘোষণা, “যাঁরা আল্লাহর পথে নিহত হয় তাঁদেরকে মৃত বলো না, বরং তাঁরা জীবিত; কিন্তু তোমরা তা অনুধাবন করতে পার না।” শহীদের রেখে যাওয়া জীবনাদর্শ আমাদের জন্য এক উজ্জ্বল আলোকবর্তিকা, যা ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের জীবন চলার পথে আলো বিতরণ করবে অনন্তকাল ধরে।

শহীদ হওয়ার পূর্বে স্মরণীয় বাণী
“শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাসের কালো থাবা বিস্তার করেছে। সন্ত্রাস নির্মূলে এক সাগর রক্তের প্রয়োজন।”

মা-বাবার প্রতিক্রিয়া
শহীদ শফিকের লাশ বাড়ি নেয়ার সাথে সাথে কান্নায় ভেঙে পড়েন শহীদের দুঃখিনী মাতা। পিতা কান্নাবিজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘তুমি আমাকে ছেড়ে আগেই চলে গেলে শফিক। কিভাবে আমি এত বড় বেদনা নিয়ে বেঁচে থাকবো!’

একনজরে শহীদ শফিকুল ইসলাম
নাম : মো: শফিকুল ইসলাম
পিতার নাম : কায়েস আহমদ
স্থায়ী ঠিকানা : গ্রাম- শাহবাজপুর, ডাক- আজমতপুর, থানা- শিবগঞ্জ, জেলা- নবাবগঞ্জ
ভাই-বোন : ৭ জন
ভাই-বোনদের মাঝে অবস্থান : পঞ্চম
পরিবারের মোট সদস্য : ৯ জন
সাংগঠনিক মান : সাথী
কৃতিত্ব : এসএসসি ও এইচএসসিতে প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষে ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট ছিলেন
জীবনের লক্ষ্য : বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়া
আহত হওয়ার স্থান : রাবি সিনেট ভবনের সামনে
আঘাতের ধরন : কাটা রাইফেলের গুলি
যাদের আঘাতে শহীদ : সংগ্রাম পরিষদের যৌথ হামলায়
শহীদ হওয়ার তারিখ : ১৮ এপ্রিল, ১৯৮৯
শহীদ হওয়ার স্থান : রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল

এক নজরে

পুরোনাম

শহীদ শফিকুল ইসলাম

পিতা

কায়েস আহমেদ

জন্ম তারিখ

জানুয়ারি ১, ১৯৬৭

ভাই বোন

৭ জন

স্থায়ী ঠিকানা

গ্রাম- শাহবাজপুর, ডাক- আজমতপুর, থানা- শিবগঞ্জ, জেলা- চাঁপাইনবাবগঞ্জ

সাংগঠনিক মান

সাথী

সর্বশেষ পড়ালেখা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

শাহাদাতের স্থান

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল