সম্পর্কের বন্ধন ও প্রতিশ্রুতি রক্ষায় মুমিনের সচেতনতা

অনুবাদ: আর তাদের কর্মপদ্ধতি এমন হয় যে, তারা আল্লাহকে প্রদত্ত নিজেদের অঙ্গীকার পালন করে এবং তাকে প্রদানকৃত প্রতিশ্রুতি মজবুত করে বাঁধার পর ভেঙে ফেলে না। তাদের নীতি হয়, আল্লাহ যেসব সম্পর্ক ও বন্ধন অক্ষুন্ন রাখার হুকুম দিয়েছেন সেগুলো তারা অক্ষুন্ন রাখে, নিজেদের রবকে ভয় করে এবং তাদের থেকে কড়া হিসাব না নেওয়া হয় এই ভয়ে সন্ত্রস্ত থাকে। তাদের অবস্থা হয় এই যে, নিজেদের রবের সন্তুষ্টির জন্য তারা সবর করে, নামাজ কায়েম করে, আমার দেওয়া রিজিক থেকে প্রকাশ্যে ও গোপনে খরচ করে এবং ভালো দিয়ে মন্দ দূরীভূত করে। আখেরাতের গৃহ হচ্ছে তাদের জন্যই। অর্থাৎ এমন সব বাগান যা হবে তাদের চিরস্থায়ী আবাস। (সূরা রাদ : ২০-২২)

সিয়াম সাধনা তাকওয়ার প্রশিক্ষণ

“হে মুমিনগণ! তোমাদের ওপর সিয়ামের ফরমান অবতীর্ণ হয়েছে যা তোমাদের পূর্ববর্তী জাতির ওপরও নাজিল হয়েছিল, যাতে তোমরা তাকওয়ার গুণাবলি অর্জন করতে পার।

অগ্নি পরীক্ষার পরেই আসে আল্লাহর পুরষ্কার

১৫৩. ‘ওহে তোমরা যারা ঈমান এনেছো, সবর ও সালাতের মাধ্যমে সাহায্য চাও। নিশ্চয়ই আল্লাহ সবর অবলম্বনকারীদের সঙ্গে আছেন। ১৫৪. আর যারা আল্লাহর পথে নিহত হয়, তাদেরকে তোমরা ‘মৃত’ বলো না। তারা তো আসলে জীবিত। কিন্তু তোমরা তা অনুধাবন করতে পার না। ১৫৫. এবং আমি অবশ্যই তোমাদেরকে ভীতিপ্রদ পরিস্থিতি, ক্ষুধা-অনাহার এবং অর্থ-সম্পদ, জান ও আয়-উপার্জনের লোকসান ঘটিয়ে পরীক্ষা করবো। এমতাবস্থায় যারা সবর অবলম্বন করবে, তাদেরকে সুসংবাদ দাও।’

সূরা হামীমুস সাজদাহ আয়াত : ৩০-৩৩

ভাবানুবাদঃ ৩০. ‘যেইসব লোক বলে : ‘আল্লাহ আমাদের রব’ এবং এই কথার ওপর অটল থাকে, নিশ্চয়ই তাদের প্রতি ফেরেশতা নাযিল হয় যারা বলতে থাকে, ‘ভয় পেয়োনা, চিন্তাক্লিষ্ট হয়ো না, আর সেই জান্নাতের সুসংবাদ পেয়ে সন্তুষ্ট হও তোমাদের জন্য যার ওয়াদা করা হয়েছে।’ ৩১. আমরা এই দুনিয়ার জীবনে তোমাদের সংগী-সাথী, আখিরাতেও। সেখানে তোমরা যা আকাংখা করবে তা তোমাদের হবে, সেখানে তোমরা যা চাইবে তা-ই পাবে। ৩২. এ হচ্ছে ক্ষমাশীল মেহেরবান সত্তার পক্ষ থেকে মেহমানদারীর আয়োজন। ৩৩. ঐ ব্যক্তির কথার চেয়ে কার কথা উত্তম হতে পারে যে লোকদেরকে আল্লাহর দিকে ডাকে, আল-‘আমালুছ ছালিহ করে এবং বলে : “অবশ্যই আমি মুসলিমদের একজন।’

সুরা আল মুমিনুন ১-১১

সরল অনুবাদ : ১) নিশ্চিত ভাবেই সফলকাম হয়েছে মুমিনরা। ২) যারা নিজেদের নামাযে বিনয়ী ও নম্র। ৩) যারা বাজে বা বেহুদা কথা ও কাজ থেকে দুরে থাকে। ৪) যারা তাজকিয়া বা পরিশুদ্ধির ব্যাপারে কর্মতৎপর হয়। ৫) এবং যারা নিজেদের লজ্জাস্থানের হেফাজত করে। ৬) তবে তাদের স্ত্রীদের ও মালিকানাভুক্ত দাসীদের ক্ষেত্রে না রাখলে তারা তিরস্কৃত হবে না। ৭) তবে যদি কেউ তাদের ছাড়া অন্য কাউকে (যৌন ক্ষুধা মেটাবার জন্য) কামনা করে তবে তারা হবে সীমালংঘনকারী। ৮) এবং যারা তাদের আমানতসমূহ এবং ওয়াদাচুক্তির (অঙ্গীকার) রক্ষনাবেক্ষন করে। ৯) এবং যারা তাদের নামাযসমূহ যথাযথভাবে সংরক্ষন করে। ১০) তারাই (এসব গুনের অধিকারী) উত্তরাধিকার লাভ করবে ১১) তারা উত্তরাদিকার হিসাবে ফিরদাউস পাবে এবং সেখানে চিরদিন থাকবে।