২৮শে অক্টোবর আমাদের যা কিছু শেখায়

২০০৬ সালের আটাশে অক্টোবর চারদলীয় জোট সরকারের মেয়াদের শেষদিন হওয়ায় জামায়াতে ইসলামীর জন্য সমাপনী সমাবেশ আয়োজনটা ছিল অত্যন্ত জরুরী। আর সে লক্ষ্যেই সমাবেশ আয়োজন করা হয় জাতীয় মসজিদের উত্তর গেইটে, যে জায়গাটি আমাদের জন্য আবেগের, আমাদের প্রিয় ঠিকানা।

২৮ অক্টোবর : সত্য-মিথ্যার ঐতিহাসিক দ্বন্দ্ব

২৮ অক্টোবর ২০০৬, ইতিহাসের নিয়মিত এবং পরিচিত অধ্যায়। বিস্মিত কিংবা উদ্বিগ্ন অথবা হতাশায় নিমজ্জিত হওয়ার মতো কোনো ঘটনাও নয় বরং নিজেদের যাচাই-বাছাই করার মতো গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম ছিল এই দিনটি। এ রকম একটি দিন যা আমাদের জন্য প্রথমও নয় কিংবা শেষও নয়, এসেছিলো, এসেছে, আসবে যা বলা যায় নিঃসন্দেহ এক ঐতিহাসিক বাস্তবতা। আমাদের শুধু বিবেচনায় নিতে হবে যে এ দিনটিকে আমরা কিভাবে গ্রহণ করেছি।

আমরা শহীদি দরজা চাই

দুনিয়াকে রঙিনভাবে উপভোগ করার আয়োজন করছি। অথচ যে মৃত্যু মুহূর্তের মধ্যেই আমাদের এতোসব আয়োজনকে চুরমার করে দেবে, ধ্বংস করে দেবে সেই মৃত্যুকে নিয়ে অবশ্যই আমাদের ভাবা প্রয়োজন। মৃত্যু নিয়ে ভাবে না শুধু তারাই যারা গাফেল। তারাই শুধু মৃত্যুর পরের জীবনকে বিশ্বাস করেন না। তারা মনে করেন মৃত্যুর মাধ্যমেই সব শেষ। বিশ্বকবি আল্লামা ইকবাল (রহ) বলেছেন, গাফেল মনে করছে মৃত্যুর মাধ্যমেই বুঝি জীবনের অবসান ঘটে, অথচ এ মৃত্যু অনন্ত জীবনের সূচনা। ক্ষুদ্র সময়ে নগণ্য একটি জীবনের জন্য যদি আমরা বিভিন্ন স্বপ্ন বুনতে পারি। ছোট্ট এই জীবনসংসার সাজানোর জন্য যদি আমরা লড়াই করতে পারি তাহলে একটি অনন্ত জীবনের জন্য সে রকম আয়োজন কেন আমরা করেতে পারি না?

আতঙ্কের জনপদ ঝিনাইদহ : একের পর এক ছাত্র হত্যা

গণতন্ত্রবিহীন একটি দেশের অবস্থা কেমন হতে পারে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি যেন তার বাস্তব প্রতিচ্ছবি। ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধমে ক্ষমতা দখল করে রাখা অবৈধ আওয়ামী সরকার বাকস্বাধীনতা হরণ, মিথ্যা মামলা, গ্রেপ্তার, রিমান্ড এবং গুম-খুনের মধ্যদিয়ে দেশে কায়েম করেছে এক বিভীষিকাময় পরিস্থিতি। বিরোধীদল ও ভিন্নমতের মানুষের লাশ পাওয়া যাচ্ছে যত্রতত্র, খালে-বিলে। রাষ্ট্রীয় মদদে ক্রসফায়ারের নামে টার্গেট কিলিং দিন দিন বেড়েই চলছে।