বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪

জাতীয় ছাত্র সংহতি সপ্তাহ উপলক্ষে সিলেটে ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত

জাতীয় ছাত্র সংহতি সপ্তাহের অংশ হিসেবে সিলেট মহানগরে ৭ জুলাই সংঘটিত গণহত্যার বিচারের দাবিতে একটি বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছাত্রশিবির সিলেট মহানগরের উদ্যোগে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা ব্যাপক অংশগ্রহণ করেন।

বিক্ষোভ মিছিলটি সিলেটের ঐতিহাসিক রেজিস্টারি মাঠ থেকে শুরু হয়ে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক অতিক্রম করে আম্বরখানায় সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

এ কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় এইচআরডি সম্পাদক আব্দুর রহিম এবং কেন্দ্রীয় স্কুল সম্পাদক সিদ্দিক আহমদ।

সমাবেশে বক্তারা জুলাই গণহত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দ্রুত বিচারের দাবি তোলেন। তারা বলেন, “৭ জুলাইয়ের গণহত্যা ইতিহাসের এক কালো অধ্যায়। এর যথাযথ বিচার না হলে এটি জাতির জন্য চরম হতাশার কারণ হয়ে দাঁড়াবে। আমাদের দাবি, গণহত্যায় জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা।”

বক্তারা আরও বলেন, “জাতীয় ছাত্র সংহতি সপ্তাহ শিক্ষার্থীদের জন্য একটি ঐতিহাসিক সুযোগ। ছাত্রসমাজের ঐক্যের মধ্য দিয়েই জাতি সংকট থেকে উত্তরণ ঘটাতে পারে। এই কর্মসূচি সেই ঐক্যের প্রতীক।”

সিলেট মহানগরের এ কর্মসূচি জাতীয় ছাত্র সংহতি সপ্তাহের সাফল্যের আরেকটি মাইলফলক। আয়োজকরা জানিয়েছেন, গণহত্যার বিচার আদায়ের লক্ষ্যে এই কর্মসূচি চলমান থাকবে।

উল্লেখ্য, গত ২৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আয়োজিত বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের সাথে জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসন ঠেকাতে এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে চলমান অস্থিরতা নিরসনের লক্ষ্যে উপস্থিত সকল সংগঠন 'জাতীয় ছাত্র সংহতি সপ্তাহ' পালনের বিষয়ে সম্মত হয়। বৈঠক শেষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সেক্রেটারি এস এম ফরহাদ। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আমানুল্লাহ আমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস, ইসলামী শাসনতন্ত্রের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল মুনতাসির আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান হোসাইন নূর ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক খায়রুল আহসান মারজান, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, সেক্রেটারি নাজমুল হাসান, স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্রসংসদের সভাপতি জামালুদ্দিন মোহাম্মদ খালিদ, ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মশিউর রহমান খান রিচার্ড আর সেক্রেটারি সৈকত আরিফ প্রমুখ।

আর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ, মুখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসউদ ও মুখপাত্র উমামা ফাতেমা উপস্থিত ছিলেন।