এক নজরে
শহীদ মনসুর আহমেদ
আবদুর রাজ্জাক
জানুয়ারি ২২, ১৯৮৮
৪ ভাই ও ৩ বোনের মধ্যে ৬ষ্ঠ
চাঁদপুর জেলার সদর উপজেলার নুরুল্লাহপুর গ্রাম
সাথী
সিটি ইউনিভার্সিটি এলএলবি ১ম সেমিস্টার
মালিবাগ
শহীদ মনসুর আহমেদ
দেশ বাঁচাতে, মানুষ বাঁচাতে ভোটাধিকার রক্ষায় গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে 'গণতন্ত্রের অভিযাত্রায়' প্রথম শহীদ হলেন ছাত্রশিবিরের সাথী চাঁদপুরের মনসুর আহমেদ। ২৯ ডিসেম্বর রাজধানীর মালিবাগে পুলিশের গুলিতে নিহত মনসুর চাঁদপুর সদর উপজেলার নুরুল্লাপুরের মৃত আবদুর রাজ্জাকের ছেলে। আঠারো দলীয় জোটের আহবানে 'মার্চ ফর ডেমোক্রেসি' গণতন্ত্রের অভিযাত্রা সফল করতে গেলে পুলিশের গুলিতে তিনি শাহদাত বরণ করেন। ঢাকা মহানগরী উত্তর শাখার বিমানবন্দর থানার ৩নং ওয়ার্ড সভাপতি মনসুর ভাই সিটি ইউনিভার্সিটির এলএলবি ১ম সেমিস্টারের ছাত্র ছিলেন।
শহীদের পরিচিতি:
শহীদ হাফেজ মো: মুনসুর প্রধানীয়া ২২.০১.১৯৮৮ সালে চাঁদপুর সদর থানার নূরুল্লাপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতার মৃত্যুর পর অভাবের সংসারে তিনি টিউশনি করে নিজের পড়া-শুনার খরচ চালাতেন। তিনি সিটি ইউনিভার্সিটিতে (বনানী, ঢাকা) এলএলবি ২য় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। মাত্র ২২ বছর বয়সে শাহাদাত বরণ করেন শহীদ হাফেজ মো: মুনসুর প্রধানীয়া।পুলিশের গুলীতে নিহত হাফেজ মনসুর আহমদ এর গ্রামের বাড়ী চাঁদপুর সদর উপজেলার নুরুল্লাহপুর গ্রাম। চাঁদপুর শহরের ব্যাংক কলোনী আবাসিক এলাকায় বড় ভগ্নিপতি রফিকুল ইসলাম ভুট্টোর বাসায় থেকে বিষ্ণুদী ইসলামীয়া আলিম মাদরাসা থেকে দাখিল ও আলিম পাশ করেন। তিনি এ বছর ঢাকা সিটি ইউনির্ভাসিটিতে এলএলবি ১ম বর্ষে ভর্তি হন। ৪ ভাই ও ৩ বোনের মধ্যে মনসুর ৬ষ্ঠ। বড় ভাই ফয়েজ আহমদ প্রবাসে চাকরি করেন। দ্বিতীয় ভাই মানজুর আহমদ ঢাকায় ব্যবসা করেন। ৪র্থ ভাই মারুফ আহমদ ঢাকায় প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করছেন। ৩ বোন সকলে বিবাহিতা। পিতা আঃ রাজ্জাক প্রধানিয়া ইন্তিকাল করেছেন। মা জীবিত। ছাত্রজীবনে চাঁদপুরে লেখা-পড়া করাকালীন ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাথে জড়িত হন। মুত্যুর আগ পর্যন্ত- হাফেজ মনসুর আহমদ ঢাকা বিমান বন্দর থানার অধীন একটি ওয়াডের" ছাত্রশিবিরের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। গতকাল ২৯ ডিসেম্বর ১৮ দলীয় জোটের মার্চ ফর ডেমোক্রেসি প্রোগ্রামে তিনি ঢাকার মালিবাগে পুলিশের গুলীতে নির্মমভাবে শহীদ হন। আইন বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি নেয়া সম্ভব হলো না শহীদ মনসুরের।
যেভাবে তিনি আল্লাহর ডাকে চলে গেলেন:
আওয়ামী সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকেই এদেশের ইসলামী ও তৌহিদী জনতার উপর চরম জুলুম নির্যাতন শুরু করে। জালিম সরকারের পদত্যাগ, নের্তৃবৃন্দের মুক্তি ও নির্দলীয় সরাকারের দাবিতে ২৯.১২.২০১৩ তারিখ জামায়াত ও বিএনপি সহ ১৮ দর ঘোষিত ঢাকা চলো কর্মসূচীতে অংশগ্রহণের জন্য তিনি সাকাল ১০ টায় বাসা থেকে বেরিয়ে মালিবাগ যান। সকাল ১১ টায় জামায়াতের নেতৃত্বে শান্তিপূর্ণ মিছিল আবুল হোটেলের সামনে থেকে শুরু হয়। মিছিলটি কিছুদূর অগ্রসর হতেই সশস্ত্র পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা অতর্কিত ভাবে হামলা চালায় এবং মুহুর্মুহ গুলিবর্ষণ শুরু করে। জনতা প্রতিরোধ গড়ে তুললে পুলিশ পিছু হটতে বাধ্য হয়। এই মিছিলেই গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই শাহাদাত বরণ করেন শহীদ মানসুর প্রধানীয়া।
শাহাদাতের পূর্বের বিভিন্ন ঘটনা :
শহীদ মানসুর প্রধানীয়া শাহাদাতের পূর্বে তার মা, ভাই ও বোনদের বলতেন -জীবন শুধু আল্লাহর জন্যই, ইসলামের জন্য মৃত্যুবরণ করলে শহীদের মর্যাদা পাবো, শহীদী মৃত্যু গৌরবের এবং আল্লাহর কাছে শহীদের মর্যাদা অপরিসীম। তিনি সব সময় আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতেন- হে আল্লাহ আমাকে শহীদ হওয়ার তৌফিক দান করুন।
সাংগঠনিক মান: ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাথী এবং ঢাকা মহনগরী উত্তর এর একটি ওয়ার্ড সভাপতি।
শহীদের আপন জনদের কথা:
মাতা: আল্লাহ আমার সন্তানকে শহীদ হিসাবে কবুল করুন। আমি শহীদের মা হিসাবে গর্বিত।
ভাই: শহীদের ভাই হিসাবে নিজেকে খুবই ভাগ্যবান মনে হয়। শহীদের দেখানো পথে আমরা অবিচল থাকবো ইনশা আল্লাহ। আমরা এই ন"শংস হত্যাকান্ডের বিচার চাই।
মেঝ বোন: আমাদের প্রাণপ্রিয় মানসুরকে আর ফিরে পাবো না। আল্লাহ তাকে শহীদের মর্যাদা দান করুন এবং জান্নাত নসীব করুন। আমীন।
শহীদ মনসুর আহমেদ
আবদুর রাজ্জাক
জানুয়ারি ২২, ১৯৮৮
৪ ভাই ও ৩ বোনের মধ্যে ৬ষ্ঠ
চাঁদপুর জেলার সদর উপজেলার নুরুল্লাহপুর গ্রাম
সাথী
সিটি ইউনিভার্সিটি এলএলবি ১ম সেমিস্টার
মালিবাগ