একটি আদর্শ ইসলামী শিক্ষাব্যবস্থার রূপরেখার আলোকে আমাদের মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কার প্রস্তাবনা - প্রফেসর আবুবকর রফিক আহমদ

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষাব্যবস্থা আমেরিকানদের কতটুকু শান্তি ও নিরাপত্তা দিয়েছে এবং বিশ্ববাসীর জন্য কতটুকু কল্যাণকর ভূমিকা পালন করেছে তার চিত্র আজ সচেতন ব্যক্তি মাত্র অজানা নয়। বাহ্যত তাদের জীবনযাত্রার মান সর্বোচ্চ দাবি করা হলেও আল্লাহকে বিশ্বাস ও পরকালের ভয়ের ধারণা তাদের শিক্ষাব্যবস্থা থেকে বিলুপ্ত হওয়ার কারণে সেখানে জনগণ বাস করছে নেকড়ে ও মেষের মত। আইনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে একজন অন্যজনকে অহরহ প্রতারিত, পদদলিত ও পরাভূত করার প্রতিযোগিতায় তারা লিপ্ত। সেখানে দুর্বলরা সর্বদাই সবলদের হাতে অত্যাচারিত। কোন নৈতিক বন্ধনে আবদ্ধ না হওয়ার কারণে সেখানকার মানুষ চরমভাবে নৈতিক অধঃপতনের শিকার। বৈষয়িক জ্ঞান-বিজ্ঞানে প্রভূত উন্নতি সাধনের পরেও আদর্শিক দিক দিয়ে তারা অন্তঃসারশূন্য।

Islamic Education Movement Recent Historty & Objectives - Shah Abdul Hannan

Islamic Education Movement, which is otherwise widely known as the Movement for the Islamization of Knowledge, as a new phenomenon started its journey sometimes in 1977-1978. A group of scholars thought that the educational system in the Muslim World in not fulfilling the needs of the Muslim countries and that it should be thoroughly revised and updated.

মাদরাসা শিক্ষার সমস্যা ও সমাধানে প্রস্তাবনা - আব্দুল্লাহ আল আরিফ

বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশ বাংলাদেশ। এ দেশের প্রায় ৯০ ভাগ লোকই মুসলমান। স্বাভাবিকভাবেই ইসলামী শিক্ষাব্যবস্থা ছিল এদেশের মানুষের প্রাণের দাবি। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, ইসলামী শাসনব্যবস্থা কায়েম না হওয়ার কারণে ইসলামী শিক্ষাব্যবস্থা কায়েম হচ্ছে না।

মাদরাসা শিক্ষাব্যবস্থাকে আপগ্রেড করতে হবে - শাহ আবদুল হান্নান

দুনিয়া চালাতে যা প্রয়োজন একটা মাদরাসায় শিক্ষা দেয়া হচ্ছে না। স্বাভাবিকভাবেই দেশ চালাবার লিডারশিপ গড়ে উঠছে না। এই দোষ তো তাদেরই। তারা করে কী একটা দাওরা ডিগ্রি দেয়। তারা কিছু আরবি শিখায়, কিছুটা হাদীস শিখায়। তাদের উচিত ছিল আমি একটা প্রবন্ধে প্রস্তাব দিয়েছিলাম যে, আপনারা যদি রোল প্লে করতে চান, তাহলে আপনাদের নতুন আরো দাওরা খুলতে হবে। জামেয়া বা ইউনিভার্সিটি মানে হচ্ছে এখানে একটা ডিগ্রি দেয়া হয় না। এখানে অনেকগুলো বিষয় পড়ানো হয়। আমেরিকার হার্ভার্ডে একশ' বিষয় পড়ানো হয়। সেখানে কওমি মাদরাসায় অন্তত আপনারা অর্থনীতিটা ঢুকিয়ে দিন। দুনিয়ার সাথে সংগতি রেখে যদি বিষয়গুলোকে পুনবিন্যাস করা না হয় তাহলে লিডারশিপ উঠে আসবে না।

ব্যবসা-বাণিজ্য শিক্ষার ইসলামী দৃষ্টিকোণ - অধ্যাপক আ.ন.ম. নুরুল করিম

আমাদের সমাজের প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী ব্যবসা-বাণিজ্য শিক্ষাকে নিছক একটি জৈবিক শিক্ষা বলে ধরে নেয়া হয়। নীতি, নৈতিকতা, ধর্ম, ধর্মবাদিতা, চরিত্র নীতি, ন্যায়নীতি ইত্যাদির সাথে এর কোন সম্পর্ক আছে বলে মনে করা হয় না। যেহেতু এ শিক্ষা শুধুমাত্র মানব সমাজে জিনিস-পত্র, পণ্যদ্রব্য উৎপাদন, উপহার বণ্টন ও বিতরণের সাথে জড়িত, সেহেতু নৈতিকতাবোধ অথবা আদর্শবাদিতার সাথে এর কোন সংস্রব থাকার কথা নয়। কিন্তু ইসলাম সম্পর্কে এ ভুল ধারণা থাকা সমীচীন নহে। যেহেতু ইহা একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন-ব্যবস্থা এবং যেহেতু ইহা জীবনের সর্বদিক নিয়ন্ত্রণ করে, মুসলিম সমাজে গৃহীত শিক্ষাব্যবস্থার মৌলিক দৃষ্টিভঙ্গি অবশ্যই ইসলামী ভাবাদর্শ থেকে উৎসারিত হতে হবে।

ইসলামে নারী শিক্ষা প্রফেসর - ড. আবুল কালাম পাটওয়ারী

ইসলামের বিশ্বজনীন প্রকৃতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ইসলামী শিক্ষা পদ্ধতির প্রকৃতি ও পরিধি ও অতি ব্যাপক এবং কালের আবর্তন ও বির্তন এবং মানব সভ্যতার অগ্রগতির সাথে সংগতি রক্ষা করে চলার গুণসম্পন্ন। ইসলামী শিক্ষাব্যবস্থার গতিশীলতা ও ব্যাপকতার প্রমাণ রয়েছে মহা নবীর শিক্ষা সম্পর্কিত কর্মসূচি ও কর্মতৎপরতায়। রাসূল (সা) বলেছেন, “আমি একজন শিক্ষক হিসেবে প্রেরিত হয়েছি'। কাজেই বলা যায়, রাসূল (সা) এর প্রবর্তিত শিক্ষা পদ্ধতি সর্বকালের এবং সর্বজাতির পুরুষ ও মহিলা এর জন্য অনুকরণীয় আদর্শস্বরূপ।

আমাদের শিক্ষা কিছু ভাবনা - ড. কাজী দীন মুহাম্মদ

আমাদের শিক্ষায় জীবন যাপনের সব রকমের ব্যবস্থা থাকবে। কেবলমাত্র জীবিকা অর্জনের শিক্ষাই সম্পূর্ণ শিক্ষা নয়। কেননা, মানুষের খাওয়া পরার পরই অন্তরের পিপাসা ও মনের ক্ষুধার কথা আসে। আর তাই তাকে মানুষের অধ্যাত্ম দিকটিকেও সমাজেই উদ্বুদ্ধ ও উজ্জীবিত করে তুলতে হবে। মনুষ্যত্ববোধকে বিকশিত না করলে, তার পশুত্বই প্রবল হবে এবং মনুষ্য জীবনের উদ্দিষ্ট ভূমিকা সে সুষ্ঠুভাবে পালন করতে পারবে না। আবার কেবলমাত্র অধ্যাত্ম্য শিক্ষাই তার জন্য যথেষ্ট নয়। যে শিক্ষা তাকে মনুষ্যত্ব বিকাশের পথ শিখাল অথচ তার জৈবিক দিকটিকে অস্বীকার করল তাও প্রকৃত শিক্ষা নয়। সুতরাং, যে শিক্ষায় এ দুয়ের সমন্বয় সাধন করে মানুষকে খেয়ে পরে বেঁচে থাকতে এবং স্বার্থ ত্যাগে উদ্বুদ্ধ করে, মানবতার কল্যাণে আত্মত্যাগে অনুপ্রাণিত করে, সে শিক্ষাই সবার কাম্য। কল্যাণকর সুশিক্ষাই শ্রেষ্ঠ শিক্ষা। সুশিক্ষিত সেকান্দর জুলকারনাইন তাই বলেছেন: To my father I owe my life but to Aristotle I owe how to live worthily.

ইসলামের দৃষ্টিতে শিক্ষার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য - ড. এম. এ. সালেহ

আল্লাহর প্রতিনিধিত্ব করতে হলে চাই আল্লাহর সৃষ্ট পদার্থের ওপর নিয়ন্ত্রণ কায়েম করা এবং তাকে মানব জাতির কল্যাণে ব্যবহার করা। আল্লাহ মানুষকে প্রতিনিধিত্ব করার গুরু দায়িত্ব অর্পণ করে সেই কাজ সাধ্যমত সম্পন্ন করার জন্য মানুষকে আল্লাহ সৃষ্ট পদার্থের উপর খবরদারি করার কিছু ক্ষমতা দিয়েছেন।