আল্লাহর প্রতিশ্রুতি পূরণে মুমিনের করণীয়

তোমাদের মধ্য থেকে যারা ঈমান আনবে ও সৎকাজ করবে তাদেরকে তিনি ঠিক তেমনিভাবে খিলাফত দান করবেন যেমন তাদের পূর্বে অতিক্রান্ত লোকদেরকে দান করেছিলেন, তাদের জন্য তাদের দ্বীনকে মজবুত ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত করে দেবেন, যে দ্বীনটি আল্লাহ তাদের জন্য পছন্দ করেছেন, তাদের (বর্তমান) ভয়-ভীতির অবস্থাকে নিরাপত্তায় পরিবর্তিত করে দেবেন। তারা যেন শুধু আমার ইবাদত করে এবং আমার সাথে কাউকে শরিক না করে।’ (সূরা আন নূর ৫৫)

'শৃঙ্খলা ও পরিচ্ছন্নতা' জীবন-সৌন্দর্যের নান্দনিক প্রতিচ্ছবি

শৃঙ্খলা এবং পরিচ্ছন্নতা মানবজীবন পরিচালনার গুরুত্বপূর্ণ দু’টি উপাদান। এ দু’টি উপাদান জীবনকে সুন্দর করে, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখে, শৃঙ্খলিত রাখে, পবিত্র রাখে। সুন্দর এবং কল্যাণময় শান্তিপূর্ণ জীবনের জন্য যেমন শৃঙ্খলা প্রয়োজন তেমনি সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্যও প্রয়োজন পরিচ্ছন্নতা। প্রচলিত একটি কথা আছে তাহলো শৃঙ্খলাই শৃঙ্খলমুক্তির পথ। আরেকটি কথাও বর্তমানে খুব প্রচলিত, শৃঙ্খলাই জীবন। আসুন আমরা সুশৃঙ্খল জীবনের অধিকারী হই। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন নান্দনিক সুন্দর এক জীবন গড়ি। মহান আল্লাহ আমাদের তাওফিক দিন। আমিন।

রাষ্ট্র বা সমাজ পরিচালনায় প্রয়োজন নৈতিকতাসম্পন্ন, দক্ষ ও পেশাগত নেতৃত্ব

নেতৃত্ব একটি শিল্প। সমাজের প্রত্যেকটি বিষয়ের সাথে নেতৃত্বের সম্পর্ক ওৎপ্রোতভাবে জড়িত। দক্ষ এবং নৈতিক নেতৃত্ব ছাড়া সুন্দর সমাজ পরিচালনা দুরূহ ব্যাপার। ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, সামরিক, অর্থনৈতিক, ধর্মীয়, বাণিজ্যিক এবং পেশাগতসহ জীবনের সকল ক্ষেত্রে নেতৃত্বের প্রয়োজনীয়তা সমভাবে সকল ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। নেতৃত্বের ইংরেজি প্রতিশব্দ Leadership (লিডারশিপ)। ইংরেজি ‘‘Lead’’ শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো ‘‘To guide, conduct, Direct and Precede’’ অর্থাৎ পথ প্রদর্শন করা, চালনা করা, নির্দেশ দেয়া ও অনুগামী হওয়া। নেতা হলেন যিনি একদল মানুষকে কোনো নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য বা লক্ষ্য অর্জনের জন্য পরিচালনা করেন। তাই Leadershipবা নেতৃত্ব বলতে পথপ্রদর্শন বা পরিচালনার কলাকৌশলকে বোঝায়। Napoleon Bonaparte এর মতে “A leader is dealer of hope” দক্ষ নেতৃত্ব মানেই ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সর্বোপরি একটি দেশ বা জাতি হিসেবে অত্যন্ত দক্ষতা অর্জন করা। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় আমরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অদক্ষ, আনাড়ি। নেতৃত্বের ব্যাপারে যে কথাটি আসে তা হলো, ‘মানুষ পরিচালনা করা’ (সড়ারহম ঢ়বড়ঢ়ষব)। এখন প্রশ্ন হলো, কিভাবে মানুষকে পরিচালনা করবেন? মানুষ পরিচালনার পাঁচটি উপায় আছে

চেতনায় ২৮ শে অক্টোবর

২৮ শে অক্টোবর মানবতার ইতিহাসে এক কলঙ্কজনক দিন। এই দিন আওয়ামী হায়েনারা খুনের নেশায় মত্ত হয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার সনদ ও দেশের সংবিধান স্বীকৃত শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করার অধিকার কেড়ে নেওয়ার মাধ্যমে একটি দলকে নিশ্চিহ্ন করে ফেলার হীন উদ্দেশ্যে মেতে উঠে। খুনী চক্র সেদিন পরিকল্পিত ভাবে লগি বৈঠা, ট্রাকভর্তি ইট আর বস্তা ভর্তি মরনাস্ত্র নিয়ে সকাল সাড়ে দশটার সময় বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেইটে মঞ্চ প্রস্তুত কাজে ব্যস্ত নিরীহ জামাত শিবির কর্মীদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে। আকস্মিক আক্রমনে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়ে আমাদের নেতাকর্মীরা।

আধুনিক ব্যবস্থাপনায় দাওয়াতি কাজের কৌশল

প্রকৃত দাওয়াত দানকারী তিনিই-যিনি মানুষকে দাওয়াত দেয়ার আগে নিজেকে আল্লাহর কাছে বিক্রি করে দেন, অর্থাৎ “First you sell yourself”. আধুনিক যুগে দাওয়াতি কাজে সফলতা লাভ করতে হলে দাওয়াতের পদ্ধতি পরিবর্তন করতে হবে। সাধারণত প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে সাথে মানুষের চিন্তা ও চেতনা দিন দিন পরিবর্তন হচ্ছে। আজকের যুগে দাওয়াতি কাজ করা মানে হাতের তালুতে আগুনের স্ফুলিঙ্গ রাখা যেমন কঠিন তার চেয়েও বেশি কঠিন বর্তমান মানুষের কাছে। কারণ যুগের পরিবর্তনে মানুষের অনেক পরিবর্তন হয়েছে, মানুষ তার বয়সের তুলনায় অনেক বেশি অগ্রসর হচ্ছে। তাই আধুনিক যুগে দাওয়াতি কাজ করতে হলে T.C বেশি প্রাধান্য দিতে হবে।

নিরক্ষরতা মুক্ত সমাজ গঠনে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা

সাক্ষর শব্দের আভিধানিক অর্থ অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তি। এখন সাধারণ অর্থে সাক্ষর বলতে পড়া,লেখা ও হিসাব করায় দক্ষতাসম্পন্ন ব্যক্তিকে মনে করা হয়। সাক্ষর ব্যক্তি যেন মাতৃভাষায় সহজে লেখা পড়তে ও বুঝতে পারে,মনের ভাব শুদ্ধ ভাষায় বলতে ও লিখতে পারে। দৈনন্দিন হিসাব-নিকাশ করতে ও লিখে রাখতে পারে। বিগত পঞ্চাশ বছরে বাংলাদেশে সাক্ষর ও সাক্ষরতার সংজ্ঞায় নানা পরিবর্তন ও বিবর্তন হয়েছে। বাংলাদেশে ‘সাক্ষরতা’ শব্দের প্রথম উল্লেখ দেখা যায় ১৯০১ সালে আদম শুমারির সরকারি প্রতিবেদনে

রাসূলের সা. সাহিত্যপ্রেম ও আমাদের আত্মজিজ্ঞাসা

কাব্যচর্চা কোন নবীর কাজ নয়, তিনি মহাসত্য প্রচারের জন্য সরাসরি আল্লাহ কর্তৃক পরিচালিত হয়ে থাকেন। আমাদের প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ সা. সর্বযুগের সর্বকালের সেরানবী হিসেবে তিনিও পরিচালিত হয়েছেন সরাসরি আল্লাহর ওহির মাধ্যমে এবং তাঁকে দেয়া হয়েছে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ মুজিজা পবিত্র আল কুরআনুল কারিম। সমকালীন আরবের শ্রেষ্ঠ সাহিত্যের চেয়েও অনেক বেশি উঁচুমানের সাহিত্যিক মূল্যবোধ দিয়ে সাজানো হয়েছে এ পবিত্র গ্রন্থ।

সন্ত্রাস প্রতিরোধে মহানবী সা:-এর শিক্ষাদর্শন

সন্ত্রাস প্রতিরোধে তরুণ বয়সে মুহাম্মদ সা. যে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন তার বাস্তবায়ন তার সমগ্র জীবনে পরিলক্ষিত হয়। তিনি নবুওয়ত পাওয়ার পরও এই প্রতিজ্ঞার কথা ভুলেননি। তিনি নবুওয়ত প্রাপ্তির পর কোন একদিন বলেন : “আজও যদি কোন উৎপীড়িত ব্যক্তি ‘হে ফুযুল প্রতিজ্ঞার ব্যক্তিবর্গ’ বলে ডাক দেয়, আমি অবশ্যই তার ডাকে সাড়া দেবো। কারণ, ইসলাম এসেছে ন্যায়কে প্রতিষ্ঠিত করতে এবং উৎপীড়িত, অত্যাচারিতকে সাহায্য করতে।” এভাবে মহানবী সা. মক্কানগরী থেকে অন্যায়, অত্যাচার ও সন্ত্রাস দূর করে শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং

জ্ঞানীদের দৃষ্টিতে বিশ্বনবী (সা.)

পবিত্র কুরআনে সুরা আম্বিয়ার ১০৭ নম্বর আয়াতে বিশ্বনবী হযরতমুহাম্মাদ (সা.)-কে বিশ্ববাসীর জন্য রহমত বা মহাকরুণা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়াও সুরা আহজাবের ৫৬ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ বলেছেন, "আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতাগণ নবীর প্রতি দরুদ পাঠান। হে মুমিনগণ! তোমরা নবীর জন্যে রহমতের তরে দোয়া কর এবং তাঁর প্রতি সালাম পাঠাও।"

সমাজসেবায় রাসুল (সা.)-এর আশ্চর্যজনক কৌশল

মদপান, জুয়াখেলা, চক্রবৃদ্ধিহারে সুদ গ্রহণ করা, গোত্রীয় যুদ্ধে লিপ্ত থাকা, নানা ধরনের কোন্দল ও দলাদলি করা, পণ্যদ্রব্যের মত দাস-দাসীদের হাট-বাজারে বিক্রয়, দাসদাসীদের উপপত্মী হিসেবে গ্রহণ, লুণ্ঠন, নরবলি, দেবমূর্তির সাথে পরামর্শ, আভিজাত্যের দম্ভ, আত্মম্ভরিতা, পরনিন্দা, পরশ্রীকাতরতা, পৌত্তলিকতা, ত্রিত্ববাদে বিশ্বাস স্থাপন, বিভিন্ন নক্ষত্ররাজীকে খোদা বলে পূজা করা, নানা ধরনের গাছকে সিজদা করা, সুদ পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলে সে ব্যক্তির স্ত্রী পুত্র, কন্যা সকলে সুদ দাতার অধীনে চলে যাওয়া- এ ধরনের অসংখ্য অন্যায় কাজ আরব সমাজে বিরাজমান ছিলো।