বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত বলেছেন, স্বাধীনতার মূল উদ্দেশ্য জাতীয় ঐক্য, গণতন্ত্র, সুশাসন ও সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা। কিন্তু বিজয়ের ৪৬ বছর পেরিয়ে গেলেও প্রতিহিংসা ও বিভাজনের রাজনীতির কারণে আমরা সে লক্ষ্য অর্জন করতে পারিনি। আজ প্রমাণ হয়েছে নৈতিকতার সমন্বয়ে যোগ্যতা সম্পন্ন দেশ প্রেমিক নেতৃত্ব ছাড়া জাতির কাঙ্খিত কল্যাণ সম্ভব নয়। আমাদের লক্ষ্যও তাই। রক্তে অর্জিত বিজয়কে অর্থবহ করতে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
এক যৌথ বিবৃতিতে কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াসিন আরাফাত ও সেক্রেটারী জেনারেল ড. মোবারক হোসেন সর্বস্তরের নেতাকর্মীকে এ কর্মসূচিতে স্বতস্ফুর্ত অংশ গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়ে বলেন, সর্বোচ্চ দায়িত্ব অনুভুতি নিয়ে বিজয় দিবসের কর্মসূচিতে অংশগ্রহন করতে হবে। শিবির সভাপতি বলেন, আদর্শহীন রাজনৈতিক অবস্থানের কারণে স্বাধীনতার এত বছর পরও সত্যিকারের বিজয় অর্জিত হয়নি। এই রাজনৈতিক শুন্যতাকে ইসলামী মূল্যবোধের আদর্শ দিয়ে পূরণ করতে হবে। নৈতিকতা ভিত্তিক আদর্শীক নেতৃত্ব তৈরীর প্রচেষ্টা আরও তীব্র করতে হবে। দেশ ও জাতির বৃহত্তর কল্যাণে সকলকে প্রতিহিংসা, প্রতিশোধ ও বিভেদের রাজনীতি পরিহার করে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। বিজয়ের অর্জনকে অর্থবহ করতে সকলকে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হতে হবে।
এবছর ১৬ই ডিসেম্বর, ৪৬ তম মহান বিজয় দিবসকে সামনে রেখে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে কেন্দ্রীয় সংগঠন “মাসব্যাপী বিজয় দিবসের কর্মসূচী” গ্রহন করেছে।
কর্মসূচী :
১. বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে র্যালী ও আলোচনা সভা।
২. শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের কবর জিয়ারত, কোরআন খানি ও দোয়া।
৩. যুদ্ধাহত অস¦চ্ছল পরিবারকে সহযোগিতা প্রদান।
৪. বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানদের সংবর্ধনা দেওয়া।
৫. মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সাথে যোগাযোগ।
৬. মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ।
৭. মুক্তিযোদ্ধা পরিবারে ফ্রি চিকিৎসা প্রদান।
৮. দরিদ্র ও মেধাবীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ।
৯. রচনা, কুইজ ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা।
১০. অনাথ ও পথ শিশুদের মাঝে খাবার বিতরণ।
১১. ফ্রি ব্লাড গ্রুফিং
১২. ব্লাড ডোনেশন।
১৩. মেডিকেল ক্যাম্প।
১৪. শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আঙিনায় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান।
১৫. সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, কবিতা পাঠের আসর ও দেয়ালিকা প্রকাশ।
সংশ্লিষ্ট
বিজয় দিসব ২০১৭
ছবি অ্যালবাম: বিজয় দিসব ২০১৭