ছাত্রশিবির সভাপতি ১৯৮৫ সালের ১১ মে’র কথা স্মরণ করে বলেন, সেদিন চাঁপাইনবাবগঞ্জে যেভাবে কুরআনপ্রেমী মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল, তা সত্যিই বেদনাদায়ক। দুঃখজনক হলেও একথা সত্য যে, সেদিনের খুনীদের বিচার না করে বরং পুরষ্কৃত করা হয়েছে। উচিৎ ছিল রাষ্ট্রীয়ভাবে সেদিনের শহীদদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করা। কিন্তু রাষ্ট্র অবহেলা করলেও সেদিনের শহীদেরা বাংলার জমিনের কুরআন প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে এক আলোক বর্তিকা রুপে ভূমিকা রাখছে।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বর্ণাঢ্য র্যালী করে ছাত্রশিবিরের বিভিন্ন শাখা। এসব র্যালীতে নেতৃত্ব দেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ হাজার হাজার ছাত্রজনতা।
বিভেদ নয় ঐক্যের মাধ্যমে সমৃদ্ধশালী সোনার বাংলা গড়ে তুলতে হবে-শিবির সেক্রেটারী জেনারেল
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারী জেনারেল আতিকুর রহমান বলেছেন, স্বাধীনতার ৪৪ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। কিন্তু স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়া এখনো সম্ভব হয়নি। এর অন্যতম কারণ বিভেদের রাজনীতি।
ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারী জেনারেল আতিকুর রহমান বলেন, মূলত বৈষম্যমূলক আচরণের বিরুদ্ধেই মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ হয়েছিল। দেশ স্বাধীন হয়েছে কিন্তু বৈষম্য দূর হয়নি। স্বাধীনতার এত বছর পরও মানুষ মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। অসহায় মানুষের হাহাকার স্বাধীনতার অর্জনকে ম্লান করে দিয়েছে।
ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল জব্বার বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলসহ রাজধানীর বুকে থাকা অনেক মানুষ আজো অক্ষর জ্ঞানহীন। স্বাধীনতার চার দশক পেরিয়ে গেলেও আজো বাংলাদেশের অনেক শিশু স্কুলে পড়ার সুযোগ পাচ্ছে না। ছাত্রশিবির এই অবস্থার পরিবর্তনের জন্য কাজ করছে।
ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারী জেনারেল আতিকুর রহমান বলেছেন, সৎ দক্ষ ও দেশপ্রেমিক জাতি গঠনে নৈতিক শিক্ষার বিকল্প নেই। বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থায় মেধাবী থাকলেও নৈতিক শিক্ষার অভাবে সকল ক্ষেত্রে দুর্নীতি থেকে আমরা বেরিয়ে আসতে পারছি না।